স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তৈরি পোশাক ও খাদ্যসামগ্রীর মতো পণ্যের ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের রপ্তানিকারকেরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। এই স্থলবন্দরটি দিয়ে কেবল তৈরি পোশাকই ভারতে যায়।
সোনামসজিদ স্থল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৬ মাসে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন তৈরি পোশাক ভারতে রপ্তানি হয়েছে। যার রপ্তানিমূল্য ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৩৯১ ডলার। রপ্তানি হওয়া পোশাকের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, লুঙ্গি, সোয়েট শার্ট ও টি-শার্ট। তৈরি পোশাক রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রভাব পড়বে বন্দরের ব্যবসায়ীদের ওপর।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জোহরা এন্টারপ্রাইজের নূর আমীন বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে খুব ছোট ছোট চালানে তৈরি পোষাক রপ্তানি হয়। তাই রপ্তানিকারকেরা সমুদ্র বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন না। কাজেই তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। ওই সব ব্যবসায়ীদের তৈরি পোষাক রপ্তানি একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে।’
বন্দরের আরেক রপ্তানিকারক বলেন, ‘ভারত হয়ত বাংলাদেশ সরকারের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। দিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করা উচিত। না হলে আমাদের মতো ছোট রপ্তানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়বে।’
এদিকে সোনামসজিদ স্থল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম জানান, ভারত নিষেধাজ্ঞা দিলেও অন্যান্য বন্দরের মতো সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য আটকা পড়েনি।