বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনরত শ্রমিকরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার পর শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় শ্রমিক নেতারা জানান, শ্রম মন্ত্রণালয় ঘোষিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্য কারখানার সম্পদ বিক্রি করে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলো।
তবে আগামী ২৯ মের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে পরদিন থেকে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছে দুই দিন সময় চান শিল্প পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিক। মঙ্গলবার রাত আটটার কাকরাইলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি বলেন, ‘সরকার শ্রমিকদের দাবির সাথে একমত। তবে দাবি পূরণে কিছুটা সময় লাগবে। মালিকদের থেকে সকল পাওনা রাষ্ট্র শ্রমিকদের বুঝিয়ে দেবে। আপনাদের দুই দিন অপেক্ষার অনুরোধ করছি।
এ সময় কলকারখানা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, ‘মালিকপক্ষের সম্পদ বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শীঘ্রই শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।’
এর আগে, দুপুর তিনটার পর বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীর হেয়ার রোড এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শ্রমিকরা। পরে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদের কারও ৩ আবার কারও ছয় মাসের বেতনসহ বকেয়া রয়েছে ঈদ বোনাস।
১৮ মাস আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডার্ড গ্রুপের ৫টি, পিএলজেড অ্যাপারেলসের নয়টিসহ প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের অভিযোগ, বেতন পরিশোধ না করে বিদেশ চলে গেছে মালিক পক্ষ। তাই বেতন আদায়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তারা।