এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ বাতিল ও চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার অসহযোগের ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবিগুলোর স্মারকলিপি পাঠানো হবে।
এনবিআর কর্মীরা বলেন, দেশের সব আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসের পাশাপাশি রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মসূচির আওতাভুক্ত থাকবে।
এছাড়া আগামী শনি ও রোববার ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ কর্মবিরতি পালন করবে। সোমবার আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা বাদে অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এর আগে, মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্দোলনরত এনবিআর কর্মীদের সাথে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা জানান, এনবিআর যেভাবে দুই বিভাগে ভাগ করা হয়েছে, সেভাবেই থাকবে।
রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই কলম বিরতি পালন করে আসছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করতে সোমবার রাতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের এই কলম বিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজস্ব কার্যক্রম। কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্দোলনে ব্যাহত শুল্কায়ন কার্যক্রম। এর প্রভাব পড়েছে পণ্য খালাসেও। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস নিতে না পারায় গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।
আমদানিকারকরা বলছেন, জরুরি খাদ্যপণ্য সময়মতো খালাস না হওয়ায়, বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে। এছাড়া রাজস্ব ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমারও শঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ গঠনের অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে আপত্তি জানিয়ে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলেন আয়কর ও শুল্ক ক্যাডারের সদস্যরা।
পরদিন এনবিআরের আওতাধীন সব কার্যালয়ে কলম বিরতি কর্মসূচির পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্ব কর্মকর্তারা। তবে, এ সময় আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি এবং এনবিআরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়।