বিদেশে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ জব্দের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। শনিবার সকালে রাজধানীতে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এরই মধ্যে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ সময় পাচার হওয়া টাকাও দ্রুত ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থের চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। তার একটি অংশের জোগান দেয় পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। সংস্থাটির নতুন একটি স্কিমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ও অবৈধ সম্পদ জব্দে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কাজ চলছে। ঐ সম্পদের মালিকানা যেন হস্তান্তর না হয় সেই চেষ্টাও চলছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, ব্যক্তি আছে যাদের অ্যাসেট লন্ডনে আছে, এমনকি ইউকেতে আছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সেগুলোকে চিহ্নিত করে ফ্রিজ করতে পারলে আমরা খুশি হবো। এখন যেটা হচ্ছে যে তারা এই সম্পদগুলো বিক্রি করতে পারবে না, আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত। কাজেই আমরা আইনি প্রক্রিয়াটা শুরু করব, এটার পরবর্তী ধাপে।’
এসময় ক্ষুদ্র ঋণ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ব্যাংকের চেয়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদের হার অনেক বেশি। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাজারে একপক্ষ যদি ১৪–১৫ পারসেন্টে দেয়, আরেক পক্ষ যদি একই বাজারে ২৪ বা ২৬ শতাংশ চায়, এটা তো হয় না। হয় না মানে, আমাদের কোনো অসুবিধা নাই কিন্তু বাজার এটাকে সমর্থন করবে না। এজন্য এফিসিয়েন্সি জেনারেট করতে হবে।’
গভর্নর জানান, কোরবানির ঈদের আগেই বাজারে আসছে নতুন ৩টি নোট। এতে থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি।