দেশের আর্থিক খাতে কোনো রোডম্যাপ নেই মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী দাবি করেছেন, সবার চিন্তা শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি আরও জানান, জিএসপি নিয়েও দেশ মামলা লড়ছে, তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।
এসময় এলডিসি উত্তরণ নির্ধারিত সময়ে হবে বলেও জানান তিনি।
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে বেসরকারি খাত কতটুকু প্রস্তুত, কী করনীয়-তা নিয়ে ঢাকা চেম্বারের এ সেমিনার। এতে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রপ্তানি বাণিজ্যে ভালো করতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে জোর দেন তারা।
এলডিসি উত্তরণের আগেই সময়োপযোগী বাণিজ্য নীতি জরুরি বলে মত দেন অর্থনীতিবিদরা। পরামর্শ দেন, খাত ভিত্তিক আলাদা পরিকল্পনার।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ‘শুধু ট্যারিফ রিফর্ম করলেই হবে না। ওভারঅল রিফর্ম, ট্যাক্সেশন রিফর্মের জায়গা থেকে জিনিসটাকে চিন্তা করে আনতে হবে। মর্ডানাইজিং ইমপোর্ট পলিসি, শুধুমাত্র আমি ট্যারিফ লিবারেলাইজ করলাম কিন্তু আমি ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন ইমপ্রুভ করলাম না, তাতেও কিন্তু আমরা এটার লাভটা পাব না।’
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, দেশের বাণিজ্যিক উন্নয়নে সবার সহযোগীতা দরকার হলেও, আলোচনা হচ্ছে শুধু রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘শুধু একটা রোডম্যাপ আমি দেখছি এখন সেটা হলো ইলেকশন হবে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে। এটাই আমাদের কাছে থাকা সবচেয়ে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ। আর এটা নিয়ে এখন চিল্লা চিল্লি হচ্ছে যে এটাকে যেন আরেকটু টাইট করা হয়। এটা ছাড়া আর কোন রোডম্যাপ আছে আমাদের? কোন সেক্টরে? আমার কোনো ধারণা নেই।’
রপ্তানি বাণিজ্যে ভালো করতে জ্বালানি নিরাপত্তা ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের আহ্বানও উঠে আসে সেমিনারে।