ঈদের আগে এবার মসলার বাজারে স্বস্তি। গত বছরের তুলনায় একই সময়ে প্রায় সব মসলার দামই কম। গরম মসলার ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, জানালেন অবৈধ পণ্য প্রবেশের কথা। অন্যদিকে পেঁয়াজ-রসুন ও আদার ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিন্ডিকেট না থাকায় কমেছে পণ্যের দাম।
কোরবানির ঈদে মাংস রান্না রাজসিক করে তোলে মসলা। জিরা-ধনিয়া-লবঙ্গ-দারুচিনির গন্ধে উৎসব-আমেজে আসে পূর্ণতা। প্রতি বছরই ঈদের আগে এসব মসলার বাড়তি দাম ক্রেতাদের ফেলে দুশ্চিন্তায়। কিন্তু এবার চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে রাজধানীতে মশলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। সেখানে গত বছরের ঈদে যে জিরার দাম ছিল কেজি প্রতি সাড়ে ৭০০ টাকা, তা এবার ৬০০ টাকা। টিসিবির খুচরা পণ্য তালিকার তথ্য- গতবারের তুলনায় এবার কমেছে- লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা, মরিচ, হলুদ সহ প্রায় সব মসলার দাম। বেড়েছে শুধু এলাচের দাম।
দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। পাইকাররা অবশ্য বলছেন-আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ায় চোরাই পথে পণ্য আসায় কমেছে দাম।
বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা পূর্ণ শুল্ক দিয়ে পণ্য এনেছি। বিক্রি না হওয়ায়, এখন লোকসানে পণ্য বিকি করতে হচ্ছে।
পাইকারি ও খুচরা পণ্যের জন্য নগরবাসীর ভরসায় থাকা কারওয়ান বাজারেও পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ সব ধরণের মসলার দাম আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় অর্ধেক কমে মিলছে। একজন ক্রেতা বলেন, কোরবানির ঈদ আসার আগে প্রতিবার মসলার দাম হু হু করে বেড়ে যায়। এবার সেই তুলনায় আগের বারের চেয়ে দাম কম।
সিন্ডিকেট দুর্বল হওয়ায় এবার সবকিছুই মিলছে নাগালের মধ্যে, এমনটাই বলছেন খুচরা বিক্রেতারা। একজন বিক্রেতা বলেন, এখন কোনো সিন্ডিকেট নেই।
দেশের প্রধান আমদানি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে, পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরায় ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। গত বছরের তুলনায় রসুনের দাম অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। আড়তে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকার আশপাশে। অন্যদিকে আদার দাম কমেছে কেজিতে ৭০ টাকার মতো।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদকআহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, পণ্য আমদানিতে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হওয়াতে বাজারদর কমেছে।
আগামী বছর যে সরকারই থাকুক, ঈদের সময় নিত্যপণ্য যেন থাকে নাগালের মধ্যে- এটিই প্রত্যাশা ক্রেতাদের।