ঈদুল আজহায় জমজমাট পশুখাদ্য ও আনুষঙ্গিক পণ্যের বাজার। ঈদের আগের কয়েক দিন এসব পণ্য নিয়ে রাজধানীতে ভিড় করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ফলে শহরে বসেই ক্রেতারা পান কোরবানির পশুর প্রয়োজনীয় নানা খাবার। একইসাথে লাভবান হন ব্যবসায়ীরাও। ঈদের আগের দিন বিক্রি সবচেয়ে ভালো হয় বলে জানান তারা।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির আনুষঙ্গিক সামগ্রীর বাজার। বিশেষ করে গরু জবাই ও মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি বা খাইট্টা এবং হোগলা পাটির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি পশুখাদ্য, বাঁশের চাটাই, ঝুড়ি, ঝাড়ু এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিক্রিও বেড়েছে।
ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই রাজধানীর বাড্ডা, কারওয়ান বাজারসহ পাড়া মহল্লায় বসেছে এসব পণ্যের মৌসুমি দোকান। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ঈদের আগের তিন-চার দিনই মূল বিক্রি হয়। বাজারে আকার ও কাঠের ধরণভেদে খাইট্টা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুই একদিনের জন্য তো। বেচা বিক্রি সেরকম না, আজকে হয়ত কিছুটা হবে। গত দুইদিন তেমন বিক্রি হয়নি।’
আগেভাগেই কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন অনেকে। ফলে পশুখাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘দামটা একদিন আগে অনেক কম ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে যে ঘাস কম। এ কারণে ডিমান্ডও বেড়ে গেছে।’
রাজধানীতে প্রতি আঁটি শুকনা বা কাঁচা ঘাস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়, ভুসি প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, খইল ১০০ টাকা এবং ধানের তুষ ৩০ টাকায়। কাঁঠালপাতার আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫০-১০০ টাকায়।
ঈদের আগে কোরবানির আনুষঙ্গিক পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ক্রেতারা।