ইরান-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধের মধ্যেই আলোচনায় হরমুজ প্রণালি। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে হরমুজ প্রণালীর পরিবহন পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর এটি বন্ধ হলে বিশ্বব্যাপীই সামরিক ও বাণিজ্যিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল রপ্তানি ও হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই লড়াই।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দামামা বেজেছে আগেই। আকাশে রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলা। বাতাসে বারুদের গন্ধ। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় সাধারণ মানুষ।
এর মাঝেই নতুন করে সামনে এসেছে এক অশনি সংকেত, হরমুজ প্রণালি বন্ধের শঙ্কা। পারস্য উপসাগরে যাওয়ার একমাত্র সামুদ্রিক এ প্রবেশপথের এক পাশে ইরান, অন্য পাশে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশ্বের মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ এ পথ দিয়েই পরিবহন হয়। একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পথ’ বলেও বিবেচনা করা হয়।ৃ
প্রণালীর সবচেয়ে সরু অংশ প্রায় ৩৩ কিলোমিটার বা ২১ মাইল চওড়া। তবে এর মধ্য দিয়ে জাহাজ চলাচলের পথটি আরও সরু, যা ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির চাপে আমরা অনেকটা নিষ্পেষিত অবস্থায় আছি। এরমধ্যে আবার শুরু হয়েছে ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ। চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হয়। এই ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধটাও আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। কারণ ফলে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে সেটার একটা প্রভাব সবার ওপর পড়বে। পোশাক শিল্পও এর থেকে বাদ যাবে না।’
বিশ্লেষকদের মতে, তেলের সরবরাহে হুমকি এলে, শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বব্যবস্থা অস্থির হয়ে উঠতে পারে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল বলেন, ‘সামরিক এবং বাণিজ্যিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ প্রত্যেকটা দেশ এখানে অ্যাফেক্টেড হবে। সুতরাং কেউই চাইবে না, এটা করুক। আমি বারবার বলছি, ইরানের হাতে কিন্তু কোনো অপসনই নাই। এটাতে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮০ ভাগ বলে আমি মনে করছি।’
সংঘাত চলাকালে এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ বন্ধের বিষয়টি তেহরান সম্ভাব্য কৌশল হিসেবেই বিবেচনা করছে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।