বাংলাদেশের জন্য দুই কিস্তিতে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একইসঙ্গে, দুই কর্মসূচির চলমান ঋণচুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
এ সংক্রান্ত বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ), এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) নিয়ে করা চুক্তির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের পর্যালোচনা শেষে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ড।
ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে প্রায় ৮৮৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) কর্মসূচির আওতায়। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) কর্মসূচির জন্য আরও ৪৫৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে।
আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী, এই অর্থ এক থেকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফ একইসঙ্গে ইসিএফ ও ইএফএফ কর্মসূচিতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বাড়তি সহায়তা এবং ছয় মাস সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এ দুই কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে দেওয়া মোট সহায়তা বেড়ে প্রায় ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আরএসএফ কর্মসূচিতে আগের মতোই ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বহাল রয়েছে।
আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকি বাড়লেও বাংলাদেশের কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি মোটামুটি সন্তোষজনক। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে সংস্কার কর্মসূচির অগ্রগতি অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।
২০২৩ সালে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে মোট ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এসেছে।