প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০১৮, ০৬:০৬ পিএমআপডেট : ০৬ মার্চ ২০১৮, ০৬:০৭ পিএম
খুলনার সরকারি পাটকল
খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি পূরণে আশ্বাস মিললেও এখনো কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। এখনো সরকারি প্রণোদনা পাননি মালিকরা। ফলে কাঙ্খিত উৎপাদন না হওয়ায় আর্থিক সংকটে পাটকলগুলো। সমস্যা সমাধানে মিল আধুনিকায়ন ও নতুন করে অর্থ বরাদ্দ চান বিজেএমসির কর্মকর্তারা।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মোট বকেয়া বেতনের পরিমাণ ছিলো ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বকেয়া মজুরি, মহার্ঘ ভাতা ও পেনশন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করে পাটকল শ্রমিকরা।
ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম, ইস্টার্ন, জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলগুলো ৬০ থেকে ৭০ বছরের পুরনো। যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও তা সংস্কার করা হয়নি। সংযোজন হয়নি নতুন যন্ত্রপাতিও। তাই ৫ হাজার ১১৪টি তাঁতের মধ্যে এখন চালু আছে মাত্র ২ হাজার ৮শ' টি। লোকসানের কারণে শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছে না পাটকলগুলো। অর্থ সংকটে কিনতে পারছে না মৌসুমের পাট। ফলে কমছে উৎপাদন।
পাটকল সিবিএ নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, "শ্রমিক, যন্ত্রাংশ ও পাট এই ৩টা জিনিস আমাদের লাগবে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা আমরা পুরানো মেশিন দিয়ে আমরা পাচ্ছিনা। সরকারের কোন পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনা। শুধু কাগজে কলমে পাই, বাস্তবে না"।
বিজেএমসির সূত্রমতে, ৩৭২ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যের বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১৮৩ টন।
খুলনার বিজেএমসি সমন্বয়কারী কর্মকর্তা গাজী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, "উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদন বাড়লেই আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হবো। সরকার যদি আমাদের জন্য বাজেত বরাদ্দ, রিভল্বিং ফান্ড করে, ওই ফান্ড থেকে আমরা মৌসুমে কাঁচা পাট কিনতে পারি"। খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭১৮জন শ্রমিক কাজ করেন।
সরকারের হস্তক্ষেপে ও কঠোর নিয়মকানুন বাস্তবায়নে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন গন্তব্যে বিমান টিকিটের দাম কমেছে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
মার্চের প্রথম ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। গত বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য...
খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিট পলিসি তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। এর পুরোপুরি সুবিধা পেতে এককালীন শোধের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মানের এক্সিট পলিসি চান তারা।...
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও গণঅধিকার পরিষদ। এসময়, সব রাজনৈতিক দলকে একমত হওয়ার আহ্বান জানায় তারা।
আরও ভিডিও দেখতে...
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ২১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা কমে আদায় হয়েছে ২৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
আরও ভিডিও দেখতে ইনডিপেনডেন্ট...
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে সারাদেশে...
সংকটে খুলনার সরকারি পাটকল
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মোট বকেয়া বেতনের পরিমাণ ছিলো ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বকেয়া মজুরি, মহার্ঘ ভাতা ও পেনশন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করে পাটকল শ্রমিকরা।
ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম, ইস্টার্ন, জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলগুলো ৬০ থেকে ৭০ বছরের পুরনো। যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও তা সংস্কার করা হয়নি। সংযোজন হয়নি নতুন যন্ত্রপাতিও। তাই ৫ হাজার ১১৪টি তাঁতের মধ্যে এখন চালু আছে মাত্র ২ হাজার ৮শ' টি।
লোকসানের কারণে শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছে না পাটকলগুলো। অর্থ সংকটে কিনতে পারছে না মৌসুমের পাট। ফলে কমছে উৎপাদন।
পাটকল সিবিএ নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, "শ্রমিক, যন্ত্রাংশ ও পাট এই ৩টা জিনিস আমাদের লাগবে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা আমরা পুরানো মেশিন দিয়ে আমরা পাচ্ছিনা। সরকারের কোন পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনা। শুধু কাগজে কলমে পাই, বাস্তবে না"।
বিজেএমসির সূত্রমতে, ৩৭২ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যের বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১৮৩ টন।
খুলনার বিজেএমসি সমন্বয়কারী কর্মকর্তা গাজী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, "উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদন বাড়লেই আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হবো। সরকার যদি আমাদের জন্য বাজেত বরাদ্দ, রিভল্বিং ফান্ড করে, ওই ফান্ড থেকে আমরা মৌসুমে কাঁচা পাট কিনতে পারি"।
খুলনা অঞ্চলের ৯টি পাটকলে বর্তমানে ২৬ হাজার ৭১৮জন শ্রমিক কাজ করেন।
/এমআর/