দেশের শেয়ারবাজারে অব্যাহত আছে দরপতন। কোনোভাবেই এ পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার টানা ৯ম দিনের মতো মূল্যসূচক কমেছে ঢাকার শেয়ারবাজার। এতে ডিএসইএক্স সূচক নেমেছে ৪ হাজার পয়েন্টের ঘরে। দর হারিয়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০০ কোম্পানির শেয়ারের। অন্যদিকে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারেরও নেতিবাচক অবস্থা।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে ইতিবাচক ছিল ঢাকার শেয়ারবাজার। প্রথম ১৫ মিনিটে প্রধান সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট। এরপর, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে সূচকের অবস্থানও। দিনশেষে ডিএসইএক্স সূচক ৪৯ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।
সূচক কমলেও ডিএসইতে এ দিন লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ দিন মোট লেনদেন হয় ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৬৭ কোটি টাকা।
হাতবদলে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭৫ ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। কমেছে ৩০০টি এবং অপরিবর্তিত ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম বিচ হ্যাচারি, দ্বিতীয় ফাইন ফুডস আর তৃতীয় অবস্থানে ব্র্যাক ব্যাংক।
শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম এনার্জি প্যাক পাওয়ার, দ্বিতীয় তাকাফুল ইসলামি ইন্স্যুরেন্স এবং তৃতীয় অবস্থানে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স।
আর, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ৫৪ দশমিক ৩৭ কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৯৫৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার।