বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এসময়, ডিএসইএক্সের সূচক কমেছে ১২৪ দশমিক সাত তিন পয়েন্ট। তবে, সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১২২ কোটি টাকা। আর বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সবদিনই সূচক কমেছে ঢাকার শেয়ারবাজারে। এতে, সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১২৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।
এসময়, ডিএসইতে কমেছে লেনদেন। গেল সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ১ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকার শেয়ার। অর্থাৎ, সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১২২ কোটি ২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকায়।
বিদায়ী সপ্তাহে হাতবদলে অংশ নেয়া ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ৩২৪টি এবং অপরিবর্তিত ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।
সপ্তাহ জুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম বিচ হ্যাচারি, দ্বিতীয় মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
শতাংশের দিক থেকে দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম শাহজিবাজার পাওয়ার, দ্বিতীয় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার এবং তৃতীয় অবস্থানে এসইএমএল।
অন্যদিকে, বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ৩০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।