আগামী বছরের বই ছাপানোর দরপত্র শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই। নভেম্বরের মধ্যেই বই ছাপানো শেষ করার লক্ষ্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)। সেই সঙ্গে দরপত্র প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, চলতি বছরের বইয়ের ভুল-ত্রুটি দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছর বই ছাপানোর কাজ শুরু হতে দেরি হয়। ফলে চলতি বছরের মার্চ মাসে সব বই হাতে পায় শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় আগামী বছরের বই ছাপানোর প্রক্রিয়া এবার আগেই শুরু করতে যাচ্ছে এনসিটিবি। এরই মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায় থেকে বইয়ের চাহিদা নেওয়া হচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে ছাপানোর কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে দরপত্র প্রক্রিয়া।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, বিগত বছরে অনেক প্রতিষ্ঠান ভুল তথ্য দিয়ে সক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ নেয়। তাই এবার সক্ষমতার ৮০ শতাংশ ধরে নিয়ে দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি। বই ছাপানোর দরপত্র শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই।
এরই মধ্যে বইয়ের পরিমার্জনের কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলছেন, চলতি বছরের বইয়ে যেসব ভুল আছে, সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে নির্ভুল পান্ডুলিপি তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলছেন, জুলাইয়ের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শুরু করতে হবে। তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাবে ছাপানোর কাজ।
এনসিটিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লটের বই ছাপানোর জন্য ছাপাখানাগুলোর ‘ব্যাংক কমিটমেন্ট লেটার’ থাকতে হবে। কোনো দুর্বল ব্যাংক থেকে লেটার অব ক্রেডিট নেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে পেপার মিলগুলোর সঙ্গে চুক্তি থাকতে হবে। যাতে কাগজের সরবরাহ ও কাগজের গুণগত মান নিশ্চিত করা যায়।