অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছেন, ‘দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণসহ আগামীতে যাতে কিছু না ঘটে সেজন্য আমরা একটা পরিকল্পনা করে সমাধানের পথে এগুচ্ছি।’
আজ বুধবার বিকেলে শহরের মুজিব সড়কের পৌরসভা ভবন সংলগ্ন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এসময় কুয়েটের চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘রাতারাতি সমাধানের যোগ্য না, তবে সমাধান হওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে। আশা করছি এটা দ্রুত সমাধান হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমি আজ গিয়েছিলাম, ছেলেরা অনশন করছে, কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে একটা আহ্বান ছিল—গরমের মধ্যে তোমরা ক্ষান্ত হও, আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু তারা হয়তো বিগত দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা মনে করেছে আমরা কথা রাখতে পারব না। আমি তাদের নিশ্চিয়তা দিয়ে এসেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান আমরা করব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদষ্টো বলেন, ‘এতবড় একটা আন্দোলনের পরে একটা অস্থিরতার মধ্যে পুরো সমাজ চলেছে। সেখানে হঠাৎ করে রাতারাতি যে সব ঠিক হয়ে যাবে সেটা ভাবাও ঠিক না। আগে কেউ তাদের দাবি-দাওয়াগুলো সেভাবে উত্থাপন করতে পারেনি। করলেও রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এখন তাদের দাবি-দাওয়া তুলতে গিয়ে হয়তো গুছিয়ে বলতে পারছে না। তাই সবাই আমাদের কাছে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো তুলে ধরছে। তারাও ভাবছে তাদের দাবিগুলো মানা হোক। আমরাও সংবেদনশীলতার সাথে তাদের দাবিগুলো দেখছি। নিয়মের মধ্যে থেকে, আইনের মধ্যে থেকে যুক্তি সঙ্গতভাবে তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এর পরে শিক্ষা উপদেষ্টা ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘আগামীর শিক্ষা : প্রেক্ষিত বর্তমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। তার আগে উপদেষ্টা ফরিদপুরের কোমরপুরস্থ ফরিদপুর মুসলিম মিশন পরিদর্শন করেন।
এসকল অনুষ্ঠানে উপদেষ্টার সাথে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্যা, পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আলতাফ হোসেন, প্রাবন্ধিক মফিজ ইমাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আবরার ইতুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।