বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের কর্ণধার খাইরুল বাশারের বিরুদ্ধে। আত্মগোপনে থাকা বাশারকে খুঁজছে পুলিশ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর নামে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক তদন্তে বিপুল অর্থ পাচারের সত্যতাও পেয়েছে সংস্থাটি। বাশারের প্রতারণায় চরম বিপাকে পড়েছে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী।
উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা যেতে চেয়েছিলেন মানিকগঞ্জের সানজিদুর রহমান। তিনি জানান, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন দেখে, ২০২১ সালের নভেম্বরে তাঁদের অফিসে যান তিনি। প্রায় নয় লাখ টাকার চুক্তিতে সানজিদকে দেওয়া হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার। তবে সেটি ছিল ভুয়া। টাকা ফেরতের কথা বললেও, টালবাহানা করছে বিএসবি। প্রতারণার কারণে দেনায় জড়িয়েছে সানজিদের পরিবার।
ভুক্তভোগীদের সমন্বয়ক রুমান বলছেন, এমন ভুক্তভোগী রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। কেউ আত্মীয়ের কাছে, কেউবা ব্যাংকের কাছে ঋণি। কারও পরিবার বিক্রি করেছে জমি।
অভিযোগ পেয়ে বিএসবির সভাপতি খাইরুল বাশারসহ তিনজনের নামে অর্থপাচারের মামলা করে সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ। পলাতক বাশারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিআইডির তথ্য বলছে, এভাবে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিএসবির শীর্ষ তিন ব্যক্তি। তাঁদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে ১৪১ জন ভুক্তভোগী।