সার্ভার জটিলতায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঝুলছে ৪৫ হাজার শিক্ষকের অবসর ভাতার আবেদন। এতে করে চরম ভোগান্তিতে অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে, বছরের পর বছর ঘুরে অবসর ভাতা নিতে হয় বেসরকারি শিক্ষকদের। দপ্তরগুলোতে পোহাতে হয় নানা হয়রানি।
বেসরকারি শিক্ষকরা চাকরি শেষে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে অবসর ভাতা পান। ৫ বছর আগে যারা অবসরে গেছেন, তারা এখন অবসর ভাতা পাচ্ছেন।
অবসর সুবিধা বোর্ডে ৪৫ হাজারের মত শিক্ষকের আবেদন জমা আছে। অথচ ১ মাসের বেশি সময় ধরে সার্ভার নষ্ট। ফলে নতুন করে আবেদনও করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে টাকাও পাচ্ছেন না শিক্ষকরা।
অবসরে যাওয়া একজন শিক্ষক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত টাকা পাওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে পাঠানো হয়েছে, পেয়ে যাব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাওয়া হয়নি। এখন সন্তানদের নিয়ে কষ্টে আছি। যখন চাকরি ছিল তখন মাস শেষে একটা টাকা পেয়েছি, এখন তো আর সেটা আসছে না। চলা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্ভার জটিলতা দূর করতে কাজ চলছে।
অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ বলেন, ‘সফটওয়্যার আমরা সময়ে সময়ে আপডেট করি। একটা সফটওয়্যার দীর্ঘদিন চললে এটাকে আবার আপডেট করতে হয়। আপডেট করার জন্য আমরা কাজ করছি। ব্যানবেইজের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। সবাই এ বিষয়ে অবগত। আমরা সফটওয়্যারটাকে আরও আধুনিক করতে চাই। এজন্য একটু সময় নিচ্ছি। খুব দ্রুতই আমরা সমস্যা সমাধান করে ফেলব।’
কল্যাণ ট্রাস্টেও ৩৯ হাজারের মতো শিক্ষকের আবেদন জমা পড়ে আছে। এখানে ২০২২ সাল পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা টাকা পাচ্ছেন।
কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব শরীফা নাছরীন বলেন, ‘৬৭৩জন শিক্ষকতে আমরা টাকা পৌঁছে দিয়েছি। আশা করি, আমরা যদি কনটিনিউ করি তাহলে অল্প সময়েই শিক্ষকরা টাকা পেয়ে যাবেন।’
কর্তৃপক্ষ বলছে, অবসর ভাতার আর্থিক জট দূর হতে দুই দপ্তরের সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।