এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ পরীক্ষার্থী। আর বহিষ্কার হয়েছেন ৪৩ জন। এবার মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। তীব্র যানজটের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শুরুর দিন সড়কে তীব্র যানজটের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেনি।
একজন অভিভাবক বলেন, ‘এমনিতেই বাচ্চারা নার্ভাস হয়ে থাকে। তারপরে গাবতলি থেকে এসেছি সাড়ে ৭টায় রওয়ানা দিয়ে, সাড়ে ৯টায় এখানে পৌঁছেছি।’
রাজধানীর ভাষানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। এসময় তিনি জানান, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গুজব ছড়ালে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘দুষ্টচক্র তো সব সময়ই এগুলো চেষ্টা করবে। কিন্তু যেভাবে আমরা এসএসসিটা সামলেছি, আশা করি এগুলোও আমরা সামলে ফেলব। যতটুকু করণীয়, অনেক আগে থেকেই প্রশ্নপত্রগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া, সেগুলো একটা হেফাজতে রাখা এবং পরীক্ষার কিছু আগে সেন্টারগুলোতে নিয়ে আসা। সবকিছু মিলিয়ে খুবই ডিটেইল প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে এগুলো করা হয়েছে।’
প্রথমদিনের পরীক্ষা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। একজন পরীক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষায় অনেক কমন এসেছে। প্রশ্ন অনেক সহজ হয়েছে, কোনো সমস্যা হয়নি।’
সূচি অনুযায়ী আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে লিখিত পরীক্ষা। আর ব্যবহারিক শেষ হবে ২১ আগস্ট। পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।