ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হচ্ছে শিগগিরই। জুলাইয়ের শেষে অথবা আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে পারে এই নির্বাচন। এদিকে ছাত্র সংগঠনগুলো এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসারও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষদের সাথে বৈঠক হয়েছে। ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথেও হয়েছে আলোচনা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জুনে তফসিল ঘোষণা করে জুলাইয়ে নির্বাচন হওয়া কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়, যদি সবাই একমত হয়। ৫ আগস্টের পর কোনো একটা সময়, দ্বিতীয় সপ্তাহে হতে পারে।’
এদিকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের প্যানেল গোছাচ্ছে। ছাত্রশিবিরও কাজ করছে নির্বাচনের জন্য।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ক্লিন ইমেজের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী। তাদের সাথে নিয়েই আমরা প্যানেল গোছাচ্ছি। তফসিল ঘোষণার পর পরই আমরা সেই প্যানেল উন্মুক্ত করব।’
ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘যারা আছেন, তারা একটি প্যানেলের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’
এদিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদও তাদের কেন্দ্রীয় প্যানেল চূড়ান্ত করছে। ছাত্রদল বলছে, কেন্দ্রীয়ভাবে প্যানেল ঠিক করা হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা আছে। নির্বাচনের আগে তাদের সরাতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমাদের যে কমিটি, সে কমিটি নিয়ে প্যানেল আকারে নির্বাচন করব।’
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ–সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য ও আওয়ামী দোসরদের ঠেকানোর জন্য প্রশাসনের সে উদ্যোগ আমরা এখনো দেখতে পারিনি।’
এদিকে সাতটি বাম ছাত্রসংগঠনের মোর্চা 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট' যৌথভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।