মানুষ হিসেবে সালমান খুবই ভালো ছেলে ছিল। আর নায়ক হিসেবেও অত্যন্ত সুন্দর। পরিচালক, অ্যাসিসটেন্ট, ক্যামেরাম্যান—সবার সঙ্গে সে খুব মার্জিত ব্যবহার করতো। খুব যত্নবান ছিল। চরিত্র অনুযায়ী কী রকম ড্রেসআপ হবে, সেটা জেনে নিয়ে নিজেকে তৈরি করতো সালমান। এবং শিডিউল নিয়ে কোনো দিন ঘাপলা করতো না।
'কন্যাদান' সিনেমাটি যখন করি তখন শাবানা-আলমগীরের সঙ্গে কথা বলছিলাম। শাবানাই প্রথম আমাকে সালমান শাহর কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'নায়ক তো আছে, আপনি সালমানকে নেন।' তখন আমি সালমানের সঙ্গে কথা বললাম। সে-ও রাজি হলো। তার বিপরীতে নায়িকা হিসেব লিমাকে নিলাম। তারপর তো আর বেশি দিন সালমানকে পেলাম না।
সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল। সালমান খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। শাকিবও জনপ্রিয়, কিন্তু সালমান একদম বেশি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। কারণ তার সিনেমা সর্বস্তরের মানুষেরা দেখতেন। মা-বোন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সবাই ওর সিনেমা দেখতো। সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ একজন শিল্পী ছিল সালমান। তবে শাকিব খানও কম যান না, তিনিও খুব ভালো অভিনেতা।
সালমানের চেয়ে শাকিব ভালো অভিনয় করে, এ জন্যই ওই কথাটা বলেছিলাম যে, 'সালমান শাহর চেয়েও শ্রেষ্ঠ শাকিব খান'। কারণ শাকিব চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে, সালমান তো পায়নি। একজন শিল্পীকে তো যাচাই করা হয় তিনি কতগুলো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, কোথা থেকে পেয়েছেন? একজন আর্টিস্টকে ভালো বলার আগে এই জিনিসগুলো আমরা দেখে নিই। যে হিসেবে শাকিবকেও ধরতে হবে। ভালো অভিনয় যাচাইয়ের জন্য ভালো চরিত্র প্রয়োজন, তা না হলে যাচাই করা যায় না। সালমান রোমান্টিক চরিত্রে খুবই ভালো অভিনয় করেছে। শাকিব রোমান্টিক বাদেও অন্য চরিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।