গত ১৯ এপ্রিল হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এতে সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ফল ঘোষণার পরপরই পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার জানিয়েছিলেন শুভেচ্ছাও।
এর প্রায় এক মাস পর ১৫ মে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তাঁর দাবি, নির্বাচনে অনেক অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। আর সেকারণে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
তবে নিপুণের এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন মিশা-ডিপজলরা। তাঁদের দাবি, সুষ্ঠু ও সুন্দর একটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই তিনি এ কাজ করেছেন।
সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বললেন, ‘নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রায় ১ মাস। আপিল বিভাগও ছিল। কিন্তু কোনো অভিযোগ আসেনি। নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয়েছে তা তো নিপুণ নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন—এটা উপস্থিত সবাই শুনেছেন। তিনি হাসিমুখে ফল মেনে নিয়ে আমাদের সঙ্গে অনেক আনন্দ-ফুর্তিও করেছেন। এতদিন পর এসে এসব কথা বলার মানে কী? আসলে তিনি কী চান?’
মিশা উদাহরণ টেনে জানান, এটা নিপুণের জন্য নতুন নয়। বলেন, ‘জায়েদ খান যখন নির্বাচনে জয় লাভ করলেন (সাধারণ সম্পাদক পদে) তখনও সে (নিপুণ) এমন একটি কাজ করে ওকে ওর আসনেই বসতে দিলেন না। এ নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। আর এসব কর্মকাণ্ড দেখে সাধারণ মানুষজন হেসেছে। শিল্পীরা হলো সমাজের আইডল। তাদের থেকে সাধারণ মানুষ ও ভক্তরা অনেক কিছু শিখে। আবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, সমাজে আমাদের অবস্থানটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে?’
নিপুণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মিশা বলেন, ‘তিনি নির্বাচন ঘিরে যেসব অভিযোগ এনেছেন, আমার কাছেও তো অনেক অনেক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। যার সাক্ষী-প্রমাণও আছে। সময় মতো তার কথার জবাব দেওয়া হবে।’
জানা যায়, নির্বাচন নিয়ে নিপুণের আইনি পদক্ষেপ আইনগতভাবেই মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এই প্যানেল। পাশাপাশি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের সময়ে জায়েদ খানসহ বাতিল হওয়া ১০৩জন ভোটারের সদস্যপদও ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে কমিটির বেশিরভাগ সদস্য।