৬ সেপ্টেম্বর একটা কালো অধ্যায় আমাদের চলচ্চিত্রের। শুধু তাই নয়, এটা আমার জীবনের খুব কষ্টের দিন। আমার বন্ধুবর সালমান শাহ, আমার পথচলা শুরুর সঙ্গী-সহযাত্রী সালমান শাহ; যাকে ইমন বলেই ডাকতাম সবাই। এই দিনে হঠাৎ করে আমরা তাকে হারিয়েছি। একেবারেই কারও চিন্তার অতীত ছিল এ ঘটনা। ছেলেমানুষী, তার অভিমান, রাগ, জিদ ছিল। একটু আলাদা ধরনেরই ছিল সে। সবার যেমন থাকে ঠিক তার বিপরীত বলা যায়। তাই ও রাগ কিংবা অভিমান করলেও খারাপ বা কষ্ট লাগত। এখন পর্যন্ত এত বছরেও একটা দিনের জন্যও ওকে ভুলে থাকতে পারিনি, পারবোও না; ও এমন এক মানুষ ছিল যাকে ভুলে থাকা কোনো দিনও সম্ভব না। যাক, ও যেখানেই আছে—আমার বিশ্বাস ভালো আছে, ভালো থাকবে। সকলের দোয়া ওর সাথে আছে।
হলি ফ্যামিলি থেকে সালমানকে নিয়ে গেছে ঢাকা মেডিকেলে। তখন এ ঘটনা শুনেছি। সেই অনুভূতি আমার ভাষায় বলার মতো নয়। ওইদিনের আগের দিন থেকে শুরু করে ওইদিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া পর্যন্ত আসলে কোনো কিছুর মিল নেই কেন যেন! আগের দিন দেখলাম ও ডাবিং করতে আসছে, আর আমি সামনেই শুটিং করছিলাম। আসলে খুব কাছের মানুষ ছাড়া এই রকম একটা ঘটনা বাইরের কেউ বলা মুশকিল। আমরা যারা বাইরের মানুষ, তারা তো আর জানি না কীভাবে কী ঘটলো। প্রশ্নগুলো এখনো মনের মধ্যে থেকেই যায়। যত প্রমাণই হোক না কেন, প্রশ্ন থেকেই যায় আরকী! তো কাছে যারা ছিল তারা যদি সব আলামত সামনে আনত তবে জানা যেত কী ঘটেছিল। এখনো আমরা অনেকটা জটিলতার মধ্যেই আছি, কখনো মনে হচ্ছে সত্যটা সামনে ঠিকমতোই এসেছে, আবার কখনো মনে হচ্ছে যে কোথাও যেন গ্যাপ (ফাঁক) রয়ে গেছে। প্রশাসন বোধহয় প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারল না, তাই আমরাও জানতে পারলাম না!
*মৌসুমীর এই কথাগুলো ওমর সানীর ভিডিওব্লগ থেকে নেওয়া