চিরতরে চলে গেলেন অভিনেতা আহমেদ রুবেল। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকেও ছিল তাঁর প্রাণবন্ত বিচরণ। কাজের সুবাদে কথাসাহিত্যিক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গেও বেশ সখ্য ছিল অভিনেতার।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে লেখকের সান্নিধ্য পেয়েছেন আহমেদ রুবেল। তাঁকে খুব পছন্দ করতেন হুমায়ূন আহমেদও। ‘যদিও সন্ধ্যা’ নামের উপন্যাসটি তিনি উৎসর্গ করেছিলেন রুবেলকে।
ওই বইয়ের উৎসর্গপত্রে হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন—
‘রুবেল
অভিনেতা হিসেবে এ+
মানুষ হিসেবে এ++’
২০২২ সালে হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকীতে সেই উৎসর্গপত্রের বিষয়ে কথা হলে এই প্রতিবেদককে আহমেদ রুবেল বলেছিলেন, ‘‘এটা একেবারে প্রথম দিকের কথা। বছরখানেক হয়েছে আমি স্যারের (হুমায়ূন আহমেদ) সঙ্গে কাজ করেছি মাত্র। সে মুহূর্তে ‘চন্দ্রকথা’ সিনেমার শুটিংস্পটে আমি। তিনি আমাকে বললেন, ‘তোমার নামে বই উৎসর্গ করতে চাই।’ শুনে আমি বিস্মিত। ইতিমধ্যে স্যার আমাকে যে একটি বই উৎসর্গ করেছেন—বিস্ময়ের ঘোরে তা তখনও বুঝতে পারছি না। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। খুব অল্প সময় হয়েছে উনার সঙ্গে কাজ করেছি মাত্র। তিনি যে এত দ্রুত আমাকে একটা বই উৎসর্গ করবেন, তা আমার ধারণাতেই ছিল না। কাজ ছাড়াও আমি তাঁর সঙ্গটা পছন্দ করতাম। কাজ ও কাজের বাইরেও সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার কাছে স্মরণীয় বিষয়। এখনও স্যারের কথা মনে হলে সেই মুহূর্তগুলো আমাকে নাড়া দেয়।’’
চন্দ্রকথা ছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন রুবেল। এ ছাড়া তাঁর নির্মিত বেশ কিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে ‘পুষ্পকথা’, ‘খোয়াবনগর’, ‘বৃক্ষমানব’, ‘সবাই গেছে বনে’ প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
প্রসঙ্গত, চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে আজ দুপুর ১টার দিকে জানাজা নামাজ শেষে রুবেলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাজীপুরে। নিজ বাড়িতে। সেখানে উত্তর ছায়াবীথি, জোড়পুকুরে বাদ আসর সমাহিত হবেন অভিনেতা।
এর আগে আজ সকালে তাঁর মরদেহ আনা হয়েছিল রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে। সেখানে অভিনেতাকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষ শ্রদ্ধা জানান অনুরাগী ও সহশিল্পীরা।