ফিল্ম ফেডারেশনকে না জানিয়ে গোপনে বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের শুটিং সেরেছেন টলিউড নির্মাতা রাহুল মুখোপাধ্যায়। ফলে এই পরিচালককে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেখানকার ফিল্ম ফেডারেশন।
এরপর আন্দোলনে নামেন পরিচালকরা। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল (২৯ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী পরিচালকেরা। স্থবির হয়ে পড়েছে টলিউড।
অন্যদিকে, দীর্ঘ বৈঠকের পরেও মেলেনি সমাধান। গতকাল (২৯ জুলাই) দফায় দফায় বৈঠকে বসেন পরিচালক থেকে টেকনিশিয়ান সব পক্ষই। তবু একে অপর নিজেদের জায়গায় অনড়। সোমবার বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন ফেডারেশন ও ডিরেক্টরস গিল্ড।
এখনও পর্যন্ত কোনো পথ বের না হওয়ায় এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন শিল্পী-নির্মাতারা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, দেবের মতো তারকা মমতার বাসভবন নবান্নে গিয়েছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। তবে কি মিলল সমাধান?
মনে হচ্ছে তা-ই! কারণ বৈঠকের পরই ‘এক্স’ হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। সঙ্গে আশ্বাস, ‘আশা করি, সন্ধ্যার মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।’
এদিকে এর আগে গতকাল দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন পরিচালকেরা। তারপর বিকেলে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে সাংবাদিক বৈঠক করে ফেডারেশন। সন্ধ্যায় সেখানেই পাল্টা বৈঠকে বসে ডিরেক্টরস গিল্ড। পরিচালকদের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তীসহ অনেকেই।
পরিচালকদের অভিযোগ, ফেডারেশন ইচ্ছেমতো একতরফা আইন তৈরি করে। ফলে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে কাজের পরিসর ক্রমশ কমছে। ফিরে যাচ্ছেন বলিউডের বহু নির্মাতা। অন্যদিকে ফেডারেশনের তরফে অভিযোগ ছিল, পরিচালকদের একাংশ ‘ষড়যন্ত্র’ করে সোমবার শুটিং বন্ধ করেছেন।