গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সারাদেশের মানুষ। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবরও পাওয়া যাচ্ছিল। এই উত্তাল সময়ে গণপিটুনিতে মারা গেছেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার-প্রযোজক সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান। সেলিম চাঁদপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
এ খবর টালিগঞ্জে পৌঁছতেই স্তব্ধ হয়ে যান সেখানকার অভিনয়শিল্পীরা। তাদের একজন টলিউড অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য দেব। সেলিম এর আগে কলকাতার দেবকে নিয়ে নির্মাণ করছিলেন ‘কমান্ডো’ নামের চলচ্চিত্র।
সেলিম খানের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেব বলেন, ‘আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। খুবই খারাপ খবর। তবে শুধু এই ঘটনা নয়। বাংলাদেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি চাইব ওপার বাংলায় শান্তি ফিরে আসুক। সব কিছু যেন স্বাভাবিক হয়ে যায়।’
সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খানের মৃত্যুর খবরে স্তব্ধ হয়ে যান টালিউড নায়িকা কৌশানি মুখার্জিও। নায়ক শান্তর এমন মৃত্যু যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু কাজ করার কথাও ছিল তাঁর। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে কৌশানি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না সত্যিই এটা হয়েছে। আমার সঙ্গে ছাড়াও টালিউডের অনেকেরই শাপলা মিডিয়ার সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। শান্তর চাঁদপুর এলাকায় যাওয়ার পর ঢাকা ঘোরানো থেকে সিম কার্ড সংগ্রহ, সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। মানুষকে ভালোবাসতেন। আমি যেহেতু অভিজ্ঞতায় বড়, আমার থেকে নানা উপদেশ নিত। আমি ভাবতেই পারছি না এমন।’
শান্তর সঙ্গে কৌশানির পরের ছবি ‘পিয়া রে’- র সমস্ত কাজ শেষ হয়েছিল। অপেক্ষা ছিল শুধু মুক্তির। কৌশানী বলেন, ‘এখন তো আর ছবিটাও মুক্তি পাবে না।’