রাজধানীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পূর্বাচলে ১৪৪ একর এলাকা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এটিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। গবেষকেরা বলছেন, ঢাকায় বাস করছে ২০৯ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। উদ্যানের মগডালে টিয়া-ভূবন চিল, জলে ডলফিন আর আর স্থলে এখনও টিকে আছে বানর, বাদুড়, গুঁইসাপ। তবে উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রায় সব প্রাণীই আছে অস্তিত্ব সংকটে।
চন্দনা, হিরামন, টিয়ার দেখা হরহামেশাই মেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা পার্কের উঁচু গাছে এমন টিয়া আছে চার প্রজাতির। আর ভুবন চিলের বাস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের শিরিশ গাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান বলেন, মহানগরীতে শত সংকটেও টিকে আছে কেশরী ফিঙ্গে, ছোট ভীমরাজ, হরিয়াল, বসন্ত বাউরি। শীতে অন্তত ৪০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে এই শহরে, স্থায়ী বাসিন্দা ১৬২ প্রজাতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জরিপ বলছে, রাজধানীর রমনা, উত্তরা, পূর্বাচল, দিয়াবাড়ি, খিলক্ষেত, আফতাবনগরসহ রাজধানীর ২২ এলাকায় রয়েছে বন্যপ্রাণী। ১৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ীর মধ্যে আছে কৃষকের বন্ধু বনবিড়াল। নগরে এখনও বানর, শেয়ালের চলাচল আছে। তবে এদের সংখ্যা কমছে প্রতিবছরই। আছে গুঁই সাপ, খৈয়া গোখরা, পদ্ম গোখরা, তক্ষকের মতো ১৯ প্রজাতির সরীসৃপ। রাজধানীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্প্রতি পূর্বাচলে ১৪৪ একর জায়গা বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।