রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র গরম। ঢাকায় আজ শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩৬.৮ ডিগ্রি। আর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮.৫ ডিগ্রি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও মৃদু, কোথাও বা মাঝারি। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রিস সেলসিয়াস। দিনে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ডিগ্রি বাড়তে পারে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরম অব্যাহত রয়েছে। বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। সকাল থেকেই ঝাঁঝালো রোদ দেখা দিয়েছে জেলাজুড়ে। বেলা যত বাড়ছে রোদের তাপও তত বাড়ছে। বেলা ১২টায় তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৩৮.৫ ডিগ্রিতে।
তীব্র রোদ-গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নিম্নআয়ের মানুষ রোদে ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
সকাল থেকে শহর ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা–ভ্যানচালকেরা কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন। তাদের অনেককে কোনো গাছের নিয়ে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে পূবালি ব্যাংক বড়বাজার শাখার নিচে বিশ্রাম নিতে দেখা গেল। তিনি বলেন, রোদে কাজ করা যাচ্ছে না। ভ্যানে যাত্রী মিলছে না। ছায়ায় বসে আছি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মাঝারি তাপপ্রবাহের আওতায়।
তিনি বলেন, সাধারণত বেশিরভাগ দিনে বেলা ১২টায় মাঝারি তাপপ্রবাহ দেখা দেয় না। এই সময়ে তাপমাত্রা বেশি হলেও তা থাকে তাপপ্রবাহের নিচে কিংবা মৃদু তাপপ্রবাহের আওতায়।
রাকিবুল হাসান আরও জানান, তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে বেশি। তারপর বৃষ্টি হতে পারে। পরে নিম্নচাপ দেখা দিতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, তীব্র গরমে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। বয়ষ্কদের রোদে বাইরে না বেরুলেই তারা নিরাপদে থাকবেন। খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তরল খাবার বেশি খেতে হবে।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন আবহাওয়াবিদেরা। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
দেশে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ওই বছর তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৬০ সালে ঢাকায় পারদ উঠেছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।