পাচার হওয়া বন্যপ্রাণী শনাক্তে প্রথমবার ব্যবহার হচ্ছে প্রযুক্তি। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) নামের এ পদ্ধতিতে প্রাণীদের শরীরে লাগানো হয়। যেখানে থাকে বিশেষ শনাক্ত নম্বর। এতে বন্যপ্রাণীর অবস্থান শনাক্ত ও পাচারের তথ্য সহজে পাওয়া যাবে। এটি আন্তর্জাতিক আদালতেও প্রাণীর পরিচয় ও ইতিহাস প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপনযোগ্য বলে দাবি করছেন বন বিভাগ ও প্রাণীগবেষকেরা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫২ হাজার বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এর বেশিরভাগই পাচারকারীদের কাছ থেকে আনা। স্তন্যপায়ী, উভয়চর ও পাখি প্রজাতির প্রাণী প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। যা পরে আবারও পাচারকারীদের কাছে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন ল্যাব টেকনিশিয়ান কনক রায় বলেন, প্রাণী পাচারের চেষ্টা প্রতিরোধে এবার ছয়টি মুখপোড়া হনুমান ও ২০টি ময়ূরের দেহে স্থাপন হয় মাইক্রোচিপ। আরএফআইডি পদ্ধতিতে শনাক্ত করা যাবে প্রাণী।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরির্দশক আব্দুল্লাহ সাদিক বলেন, পাচার হওয়া প্রাণী উদ্ধার হলে এর পরিচয় ও মালিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। নতুন প্রযুক্তিতে প্রাণীর আগের অবস্থান, বিশেষ নম্বর, চিকিৎসা ইতিহাস এবং আইনি তথ্য যাচাই করা সম্ভব।
বন্যপ্রাণী গবেষক আশিকুর রহমান সমী বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় উন্নত দেশগুলোতে প্রাণীদেহে ট্র্যাকিং ডিভাইস, মাইক্রোচিপ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এই প্রযুক্তি নতুন মাত্রা যোগ করল।