প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০১৮, ০৩:৪৩ পিএমআপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৮, ০৬:২৭ পিএম
সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক হাঙ্গর হোয়েল শার্ক। তবে এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক কিছুই আমাদের অজানা। সম্প্রতি ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপে বিলুপ্তপ্রায় এই হোয়েল শার্কের প্রজনন ও গতিবিধি সম্পর্কে নতুন তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। এসব তথ্য প্রাণীটির অস্তিত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলের দাবী গবেষকদের।
সাগর তলদেশের সবচেয়ে বড় প্রাণী হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙ্গর। তবে আকারে বড় হলেও মোটেও হিংস্র নয় এরা। ছোট মাছ আর সামুদ্রিক অণুজীব এদের প্রধান খাদ্য। একটি পূর্ণবয়স্ক হোয়েল শার্কের ওজন প্রায় ১৮ টন। দোতলা বাসের সমান এই মাছ আঁকারে ২০ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা।
অনিয়ন্ত্রিত শিকারের ফলে এই বিশাল প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তাই হোয়েল শার্কের বংশবৃদ্ধি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অজানা তথ্যের খোঁজে ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোসে গবেষণা চালাচ্ছেন জলজ প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি অব কুইটো গবেষক অ্যালেক্স হার্ন বলেন, "গ্যালাপাগোসের সংরক্ষিত অঞ্চলে গবেষকদের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা। এখানে এখনো অনেক হোয়েল শার্কের দেখা মেলে। এখানকার বাস্তসংস্থান খুব উন্নত আর হাঙ্গরের বসবাসের উপযোগী।"
মা হাঙ্গরের দেহে ক্যামেরাযুক্ত করে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষকরা জানান, আশ্চর্যজনকভাবে সব মা হাঙ্গর এখন বেশীরভাগ সময় সাগরের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থান করছে। বিষুবরেখা বরাবর এ অঞ্চলে সাগরের ঠাণ্ডা ও গরম পানি সবসময় পাশাপাশি বয়ে চলে। আর এখানকার পানির উচ্চতাও অনেক বেশী।
গবেষক অ্যালেক্স হার্ন আরো বলেন, "হাঙ্গরের প্রজনন সম্পর্কে জানতে তাদের প্রজনন ঋতু, মৃত্যুহার ও জীবন চক্র নিয়ে গবেষণা করছি আমরা। এখনো আমাদের অনেক তথ্য আজানা রয়েছে।"
খাবারের সন্ধানে এসব হাঙ্গর তাদের গতিপথ পরিবর্তন করেছে বলে ধারণা করা হলেও, গবেষকদের দাবি, শিকারিদের হাত থেকে নবজাতকদের রক্ষায় এখানে অবস্থান নিচ্ছে গর্ভবতী মা হাঙ্গরেরা। এছাড়াও হাঙ্গরের খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন সম্পর্কেও নতুন তথ্য পেয়েছেন তারা। এসব তথ্য হাঙ্গরের সম্পর্কে বিভিন্ন রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি তাদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবে বলে আশা গবেষকদের।
রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও ভিডিও দেখতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি ক্লিক করুন।
নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। আট মাসেও নিয়োগ দিতে পারেনি চেয়ারম্যান। পুরনোদের সাথে নতুন দখলদারদের কাছ থেকেও নদী রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি কমিশন। তাই জাতিসংঘের পানি আইনে...
রমজান মাস বা মার্চের শেষ দিকে বইতে পারে দুইটি তাপপ্রবাহ। সেমসয় তাপমাত্রার পারদ উঠতে পারে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে ৭ মার্চের পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়বে...
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে কুষ্টিয়ার আড়াই শ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি...
আইপিএলের নিলামে প্রথমে দল না পাওয়া বশকে পিএসএল ড্রাফট থেকে দলে টেনেছিল পেশোয়ার জালমি। কিন্তু আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের লিজার্ড উইলিয়ামস চোটে পড়ার পর মুম্বাই বশকে দলে টানতে চেয়েছে। বশও জালমির...
ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ওই নারীকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব সংস্কারে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলছেন, সংস্কার হবে বাংলাদেশের নিজস্ব প্রক্রিয়ায়। রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শফিকুল আলম এ কথা বলেন। প্রেস উইং থেকে আরো...
তিমি হাঙ্গরের কিছু অজানা তথ্য
সাগর তলদেশের সবচেয়ে বড় প্রাণী হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙ্গর। তবে আকারে বড় হলেও মোটেও হিংস্র নয় এরা। ছোট মাছ আর সামুদ্রিক অণুজীব এদের প্রধান খাদ্য। একটি পূর্ণবয়স্ক হোয়েল শার্কের ওজন প্রায় ১৮ টন। দোতলা বাসের সমান এই মাছ আঁকারে ২০ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা।
অনিয়ন্ত্রিত শিকারের ফলে এই বিশাল প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তাই হোয়েল শার্কের বংশবৃদ্ধি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অজানা তথ্যের খোঁজে ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোসে গবেষণা চালাচ্ছেন জলজ প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
সান ফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি অব কুইটো গবেষক অ্যালেক্স হার্ন বলেন, "গ্যালাপাগোসের সংরক্ষিত অঞ্চলে গবেষকদের জন্য একটি অসাধারণ জায়গা। এখানে এখনো অনেক হোয়েল শার্কের দেখা মেলে। এখানকার বাস্তসংস্থান খুব উন্নত আর হাঙ্গরের বসবাসের উপযোগী।"
মা হাঙ্গরের দেহে ক্যামেরাযুক্ত করে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষকরা জানান, আশ্চর্যজনকভাবে সব মা হাঙ্গর এখন বেশীরভাগ সময় সাগরের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থান করছে। বিষুবরেখা বরাবর এ অঞ্চলে সাগরের ঠাণ্ডা ও গরম পানি সবসময় পাশাপাশি বয়ে চলে। আর এখানকার পানির উচ্চতাও অনেক বেশী।
গবেষক অ্যালেক্স হার্ন আরো বলেন, "হাঙ্গরের প্রজনন সম্পর্কে জানতে তাদের প্রজনন ঋতু, মৃত্যুহার ও জীবন চক্র নিয়ে গবেষণা করছি আমরা। এখনো আমাদের অনেক তথ্য আজানা রয়েছে।"
খাবারের সন্ধানে এসব হাঙ্গর তাদের গতিপথ পরিবর্তন করেছে বলে ধারণা করা হলেও, গবেষকদের দাবি, শিকারিদের হাত থেকে নবজাতকদের রক্ষায় এখানে অবস্থান নিচ্ছে গর্ভবতী মা হাঙ্গরেরা। এছাড়াও হাঙ্গরের খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন সম্পর্কেও নতুন তথ্য পেয়েছেন তারা। এসব তথ্য হাঙ্গরের সম্পর্কে বিভিন্ন রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি তাদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবে বলে আশা গবেষকদের।
/জে-এফ/