চিকিৎসক সংকটে অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। অবস্থাসম্পন্নরা ছোটেন প্রাইভেট ক্লিনিকসহ বড় শহরে। তবে, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ বাধ্য হয়েই ভিড় করেন এসব হাসপাতালে। আর রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদেরও।
নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরী উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষের বাস। তাঁদের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল ৩১ শয্যার খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বছরখানেক চিকিৎসক শূন্য থাকার পর সম্প্রতি একজন যোগ দিয়েছেন হাসপাতালটিতে। স্থানীয়রা বলছেন, চিকিৎসক সংকটে মেলে না সেবা।
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ চিকিৎসকের পদের বিপরীতে আছেন মাত্র দুজন। আশানুরুপ চিকিৎসা না পেয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক বা জেলা সদর ও সিলেটে ছুটতে হয় স্থানীয়দের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাকবলিত রোগী আনা হলেও প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা যায় না।
বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহেদ খান বলেন, হাসপাতালে সার্জন সহ ৮ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে ২ জন ডাক্তার দিয়ে দিনে রাতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সমস্যার সমাধান হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
নীলফামারীর চার উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও চিকিৎসক সংকটে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদেরও।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, উনারা বলেছেন, সারা দেশে একই চিত্র। এই মুহূর্তে চিকিৎসক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সামনে চিকিৎসক নিয়োগ হবে, তখন আমরা চিকিৎসক পাব।
নীলফামারী জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বাস। জেলায় ১২৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৩৫ জন চিকিৎসক। যার মধ্যে অনেকেই আবার প্রেষণে কাজ করছেন বিভিন্ন জায়গায়।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও নীলফামারীর জেলা প্রতিনিধি ।