গাজর অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন কে১, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক উপাদান। এসব উপাদান শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গাজরের বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা থেকে শুরু করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
১০০ গ্রাম ওজনের গাজরে রয়েছে ক্যালরি ৪১, পানি ৮৯ শতাংশ, প্রোটিন শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৯ দশমিক শূন্য গ্রাম, ফাইবার দুই দশমিক ৭ গ্রাম।
১. গাজরের থাকা বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বয়স বাড়লে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে। বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমায় গাজর।
২. ক্যারোটিনয়েড সবজি গাজর ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় গাজর।
৩. গাজরে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. উচ্চ কোলেস্টেরল হার্টের অসুখ বাড়ায়। গাজর কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৫. গাজরে পটাশিয়াম থাকে ৷ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের উন্নতিতে সহযোগিতা করে। গাজর কাঁচা অথবা জুস আকারে পান করা শরীরের জন্য ভালো।
৬. গাজর একটি কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
৭. গাজরের ফাইবার উপাদান হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮. গাজর ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। গাজর ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন