হজমের সমস্যায় কমবেশি সকলকেই ভুগতে হয়। হজম ঠিকঠাক হলে ভালো ঘুম হবে। এতে শারীরিকভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন। রাতের খাবারের পরে কিছু নিয়ম পালন করলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন। এই নিয়মগুলো পেট ফাঁপা, অস্বস্তি এবং অলসতা দূর করবে।
শরীরিকভাবে সুস্থ এবং ভালো ঘুমের জন্য রাতের খাবার হজম হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। এতে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি খাবারের পুষ্টির শোষণের মাত্রাও ঠিক থাকবে।
আসুন জেনে নিন, কিছু এমন কিছু নিয়মের কথা। যেগুলো নিয়মিত পালন করলে খাবার সহজেই হজম হবে।
১. রাতের খাবার শেষ করে ১০-১৫ মিনিট ধীরে ধীরে চিন্তামুক্ত হয়ে হাঁটুন। এতে আপনার পেটের পেশীগুলি ক্রিয়াশীল হবে। ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে। হাঁটাহাঁটি করলে পেট ফাঁপা কমবে, এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া হাঁটলে মন শান্ত থাকবে এবং রাত ঘুম অনেক ভালো হবে।
২. খাবারের পরে হালকা গরম পানি পান করুন। গরম পানি পরিপাকতন্ত্রের কাজ সহজ করবে। তবে খাবারের পরে ঠান্ডা পানি পান করা যাবে না। এটি হজম প্রক্রিয়ার কাজকে ধীর করে দিতে পারে। এর পরিবর্তে কুসুম গরম পানি পান করুন।
৩. রাতের খাবারের পর পাঁচ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। গভীর শ্বাস স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করবে। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে কয়েকবার শ্বাস নিন, এরপর আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। এই অভ্যাসটি আপনার শরীরকে শান্ত করবে। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
৪. খাওয়ার পর শুয়ে থাকার অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করুন। এর পরিবর্তে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য সোজা হয়ে বসুন। সোজা হয়ে বসে থাকলে হজম প্রক্রিয়ায় কাজ সহজ হবে।
৫. রাতের খাবারের পরপরই ঘুমাবেন না। কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরে ঘুমাবেন। খাবারের পর শুয়ে পড়লে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। এতে আপনার শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হতে পারে। এর পরিবর্তে বই পড়ুন, পরিবারের অন্যদের সঙ্গে আড্ডা দিন অথবা শখের কোনো কাজে নিজেকে নিযুক্ত থাকুন।
৬. রাতের খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান। তাড়াহুড়ো করে রাতের খাবার খাবেন না। ধীরে ধীরে খাবার খেলে খাবার সহজেই হজম হবে।
৭. রাতের খাবারের পর এক কাপ উষ্ণ ভেষজ চা পান করুন। এতে হজমের উন্নতি হবে। পুদিনা পাতা, আদার মতো ভেষজ উপাদান দিয়ে চা পান করতে পারেন। এতে পেটের গ্যাস দূর হবে। ভেষজ চা বদহজম বা পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া