গ্রীষ্মকালীন ফল জাম। এখন বাজারে গেলেই দেখা পাবেন ভ্যান ভর্তি জামের। জাম ভর্তা অনেকের পছন্দের খাবার। জামে স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। এ ফল পেটের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া জামের পলিফেনলিক বৈশিষ্ট্য ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি এবং আর্থ্রাইটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে।
জাম খেলে পেটফাঁপা, অন্ত্রের সমস্যা, পেটের অসুখ এবং আমাশয় থেকে দূরে থাকা যায়। এছাড়া হজমের সমস্যা দূর করে জাম। জাম ও জামের পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দাঁত এবং দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
জাম ক্যালরির পরিমাণ কম থাকলেও ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ণ একটি ফল। আসুন জেনে নিন, জামের উপকারিতা–
১. জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জামে থাকা আয়রন রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। যারা আয়রনের ঘাটতিতে ভুগছেন, তারা খাদ্যতালিকায় জাম রাখতে পারেন।
২. দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে, জাম ও জামের পাতা এই ব্যথা দূর করবে। জামের পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মাড়ির সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে।
৩. জাম আন্টি অক্সিডেন্ট, আয়রন, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ একটি ফল। জাম খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এ ছাড়া জাম ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া জামে থাকা ভিটামিন সি ত্বক নরম করতে সহায়তা করে।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে জাম। জাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ জামে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো উপাদান। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে জাম সহজলভ্য একটি ফল, যা খাওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা করতে হয় না। জামের বীজ ইনসুলিন উৎপাদন বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে জাম। এই ফলে ফাইবার বেশি এবং ক্যালোরি কম থাকে। জাম পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি