সেকশন

রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
Independent Television
 

গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই যথেষ্ট করোনা মোকাবিলায়

আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, ১১:১৭ এএম

বর্তমানে, করোনাভাইরাস সাধারণ জ্বর, সর্দি বা মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জার রূপ নিয়েছে। বহনকারীদের বেশির ভাগ পরীক্ষা করছেন না। ফলে সংক্রমণের সঠিক চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকৃত করোনা রোগী অনেক বেশি ধারণা করা হচ্ছে। তবে নতুন উপ-ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়ালেও গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুহার তেমন বাড়েনি। সতর্কতা হিসেবে নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও টিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন ধরন এক্সএফজি শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এক্সএফসি নামের আরও একটি উপ-ভেরিয়েন্টও পাওয়া গেছে। উভয়টিই ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ এর উপ-ভ্যারিয়েন্ট।

লক্ষণ

১. জ্বর - সাধারণত হালকা এবং স্বল্পস্থায়ী।

২. কাশি - শুষ্ক বা সামান্য কফ।

৩. গলা ব্যথা - প্রায়শই প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি।

৪. সর্দি বা নাক বন্ধ হওয়া - সাধারণ সর্দি-কাশির মতো।

৫. ক্লান্তি - ক্লান্তি বা দুর্বলতার সাধারণ অনুভূতি।

৬. মাথাব্যথা - হালকা থেকে মাঝারি পর্যন্ত হতে পারে।

৭. শরীর বা পেশীতে ব্যথা - সর্বদা উপস্থিত থাকে না তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়।

৮. কিছু রোগী গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণগুলিও রিপোর্ট করেছেন, যেমন: ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব।

৯. স্বাদ বা গন্ধ হ্রাস, যা পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলিতে সাধারণ ছিল, JN.1 ক্ষেত্রে কম দেখা যায়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু)  এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যে পার্থক্য–

ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু) এবং কোভিড-১৯ উভয়ই সংক্রামক শ্বাসযন্ত্রের রোগ, তবে এগুলি বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। কোভিড-১৯ SARS-CoV-2 নামক একটি করোনভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয় এবং ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসগুলির যেকোনটির সংক্রমণের কারণে হয়। শুধু লক্ষণ দ্বারা ফ্লু এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যে পার্থক্য করা যায়না, কারণ কিছু লক্ষণ একই রকম। কিছু নিউক্লিক অ্যাসিড অ্যামপ্লিফিকেশন পরীক্ষা (NAATs), যার মধ্যে PCR পরীক্ষাও রয়েছে, একই সময়ে ফ্লু এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে বিশ্বব্যাপী SARS-CoV-2 ভাইরাসের কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১১ মে ২০২৫ পর্যন্ত, ৭৩টি রিপোর্টিং দেশের পরীক্ষার পজিটিভিটি হার ১১ শতাংশ। এই স্তরটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে (৯৯টি দেশ থেকে ১২ শতাংশ) পরিলক্ষিত সর্বোচ্চ পজিটিভিটি হারের সাথে মিলে যায়। এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ১১০টি দেশের রিপোর্ট অনুযায়ী পজিটিভিটি হার ২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার পজিটিভিটি হার বৃদ্ধি পেয়েছে মূলত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে।

২০২৫ সালের শুরুর দিক থেকে, বিশ্বব্যাপী SARS-CoV-2 এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উপর ভেরিয়েন্টের পরিবর্তিত রূপ দেখা যাচ্ছে। যেমন ২০২৫ এর ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বে LP.8.1 এর সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে এবং NB.1.8.1, এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। SARS-CoV-2 সংক্রমণের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করা পজিটিভিটি হারের সঙ্গে ব্যাপকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ঋতুগত প্রভাব বোঝার জন্য আরো অব্যাহত পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচির অংশ হিসাবে, কোভিড-১৯ এর গুরুতর পর্যায় এবং মৃত্যু প্রতিরোধে, সমন্বিত চিকিৎসার ব্যবস্থা, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে (যাদের অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে, যাদের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে, যারা গর্ভবতী), কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করার জন্য। এবং যারা পূর্বে টিকা প্রাপ্ত তাদেরকে টিকা গ্রহণের পর ৬ মাস অতিবাহিত হলে পুনরায় টিকা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বাড়লেও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত হাসপাতালে ভর্তি, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (ICU) ভর্তি এবং মৃত্যুর হার খুবই কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে SARS-CoV-2 এর বিবর্তন অব্যাহত রয়েছে এবং জানুয়ারি থেকে মে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী SARS-CoV-2 এর ভ্যারিয়েন্ট ও উপ-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হারের পরিবর্তন এসেছে। বছরের শুরুতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক প্রাপ্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপ-ভ্যারিয়েন্ট গুলো হল XEC, KP.3.1.1। ফেব্রুয়ারিতে, XEC এর সংক্রমণ হ্রাস পেতে শুরু করে যখন LP.8.1 এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, এবং মার্চের মাঝামাঝি সময়ে LP.8.1 সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট হয়ে ওঠে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে, LP.8.1 এর সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে কারণ NB.1.8.1 ক্রমবর্ধমান ভাবে শনাক্ত করা হচ্ছে।

ফাইল ছবিবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওমিক্রনের কিছু উপ-ভ্যারিয়েন্ট যেমন NB.1.8.1, XDV.1.5.1, JN.1, LF7, XFC, গুলোকে ‘পর্যবেক্ষণাধীন রূপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সাম্প্রতিক মনোনীত পর্যবেক্ষণাধীন রূপটি হল NB.1.8.1, যা XDV.1.5.1 এর বংশধর, যা JN.1 এর বংশধর, এবং এর প্রথম নমুনাটি চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সংগ্রহ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রভাবশালী SARS-CoV-2 এর রূপ, LP.8.1 এর তুলনায়, NB.1.8.1 এর নিম্নলিখিত অতিরিক্ত স্পাইক মিউটেশন রয়েছে: T22N, F59S, G184S, A435S, V445H, এবং T478I। ৪৪৫ নম্বর অবস্থানে স্পাইক মিউটেশন hACE2 রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধতা বৃদ্ধি করতে দেখা গেছে। NB.1.8.1 এই রূপটির সংক্রমণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পারে। ৪৩৫ নম্বর অবস্থানে মিউটেশন ক্লাস ওয়ান এবং ক্লাস ১/৪ অ্যান্টিবডিগুলির নিরপেক্ষকরণ ক্ষমতা সামান্য হ্রাস করতে দেখা গেছে, ৪৭৮ নম্বর অবস্থানে মিউটেশন ক্লাস ১২ অ্যান্টিবডিগুলির এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দেখা গেছে।

১৮ মে ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত, ২২টি দেশ থেকে ৫১৮টি NB.1.8.1 সিকোয়েন্স GISAID-তে (Global Initiative on Sharing All Influenza Data) জমা দেওয়া হয়েছে, যা ২০২৫ সালের ১৭তম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (EW17) (২১ থেকে ২৭ এপ্রিল ২০২৫) বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ হার ১০ দশমিক ৭ শতাংশ পাওয়া গেছে। যদিও এটি ২০২৫ সালের ১৪তম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (EW14) (৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল ২০২৫) সংক্রমণের হার ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে দেখা যাচ্ছে ২০২৫ সালের ১৪তম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহ থেকে ১৭তম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (EW17) উল্লেখযোগ্যভাবে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে, ২০২৫ সালে আটটি দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ এর এপ্রিলের শুরু থেকে, কোভিড-১৯ পরীক্ষার পজিটিভিটির হার ১৫তম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (EW15) ০ দমশিক ৫ শতাংশ থেকে ১৯তম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (EW19) ৫ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ২০২৪ সালে একই সময়ে একই রকম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, ২০২৪ সালেও EW15-এ ৪ শতাংশ থেকে EW19-এ ৬ শতাংশ এবং EW24-এ আরও বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছিল। সাম্প্রতিক ২০২৫ সালের কোভিড-১৯ পরীক্ষার পজিটিভিটির হার বৃদ্ধি মালদ্বীপ এবং থাইল্যান্ডে পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রকাশিত জাতীয় প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে EW20-তে এবং থাইল্যান্ডে EW16 থেকে EW20-এর মধ্যে কোভিড-১৯ কেস শনাক্তকরণের হার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের ১০ শতাংশ NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্ট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি আগের যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি মারাত্মক বা প্রাণঘাতী- এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে, এটি আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্বে যে সকল কার্যকর টিকা পাওয়া যাচ্ছে–

২০২৪-২০২৫ সালের কোভিড-১৯ টিকা সমূহ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টর JN.1 উপ-ভ্যারিয়েন্ট সহ অন্যান্য কিছু ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আপডেট করা হয়েছে।

১. 2024-2025 Moderna কোভিড-১৯ টিকা (৬ মাস এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য)।

২. 2024-2025 Pfizer-BioNTech কোভিড-১৯ টিকা (৬ মাস এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য)।

৩. 2024-2025 Novavax কোভিড-১৯ টিকা (১২ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য)।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় করণীয়–

ব্যক্তিগত পর্যায়ে করণীয়

১. স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা: মাস্ক পরা (বিশেষ করে জনসমাগমে বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে)। সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করে নাক-মুখ ঢাকা।

২. টিকা ও বুস্টার ডোজ নিশ্চিত করা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত Moderna, Pfizer, বা Novavax টিকা গ্রহণ করা। শেষ ডোজের ৬ মাস পর বুস্টার টিকা নেওয়া (বিশেষ করে ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক, গর্ভবতী ও যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগ আছে)।

৩. লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ: জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হলে লক্ষণ শুরুর দিন থেকে ৭ দিন আইসোলেশনে যাওয়া। গুরুতর অসুস্থ হইয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হলে লক্ষণ শুরুর দিন থেকে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা RT-PCR টেস্ট করা। প্রয়োজনে ১৬৩৬৩ বা আইইডিসিআর হটলাইন (০১৪০১-১৯৬২৯৩) এ যোগাযোগ করুন।

৪. জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলা: অপ্রয়োজনে ভিড় এড়ানো (বাজার, গণপরিবহন, সামাজিক অনুষ্ঠান)। ভার্চুয়াল মিটিং বা অনলাইন সেবাকে প্রাধান্য দেওয়া।

৫. পুষ্টিকর খাবার ও ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন-সি (লেবু, আমলকী), জিংক (ডাল, বাদাম), ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। পর্যাপ্ত পানি পান ও বিশ্রাম নেওয়া।

লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। ফাইল ছবিজাতীয় পর্যায়ে করণীয়–

১. ভ্রমণ নীতিমালা কঠোর করা: ভারতসহ উচ্চ সংক্রমণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও র‍্যান্ডম র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্টিং। GISAID-এর ডেটা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা হালনাগাদ করা।

২. কোভিড-১৯ পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো: র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা RT-PCR টেস্ট কিটের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করা। কমিউনিটি লেভেলে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সুবিধা সম্প্রসারণ।

৩. স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার করা: কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রস্তুতি (আইসিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা (HFNC) ইত্যাদির ব্যবস্থা)। জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা (HFNC) এর ব্যবস্থা করা।

৪. টিকাদান ক্যাম্পেইন ত্বরান্বিত করা: ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক, গর্ভবতী, যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগ বা কোমর্বিডিটি আছে ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় মোবাইল টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা।

৫. কোভিড-১৯ সংক্রমণ নজরদারি ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট: রিয়েল-টাইম ড্যাশবোর্ড: সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ডেটা আপডেট রাখা।

৬. গবেষণা ও জিনোম সিকোয়েন্সিং: কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে আইইডিসিআর-এর গবেষণার সক্ষমতা বাড়ানো।

৭. জনসচেতনতা ও মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধ: স্বাস্থ্যবিধি, টিকার গুরুত্ব ও লক্ষণ সম্পর্কে তথ্য প্রচার, মিডিয়া ক্যাম্পেইন।

৮. সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং: কোভিড-১৯-সংক্রান্ত গুজবরোধে কঠোর নজরদারি।

২০২৫ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও, বাংলাদেশে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের, NB.1.8.1-এর মতো নতুন উপ-ভ্যারিয়েন্টগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও, এগুলো গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুহার বৃদ্ধি করেনি। বিশেষ করে টিকাপ্রাপ্ত ও পূর্বে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে লক্ষণ মৃদু থেকে মাঝারি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। কোভিড-১৯ এখনও একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ, তবে বাংলাদেশে টিকাদানের সাফল্য এটিকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে তুলেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় সামষ্টিক সচেতনতা, বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ও সমন্বিত প্রস্তুতিই হলো মূল হাতিয়ার।

লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, পরিচালক, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, চট্টগ্রাম।

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক, যা কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই ঘটে থাকে। কিছু কিছু খাবার আছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেক সময় হার্টের সমস্যা থেকে দূরে থাকা...
প্লাস্টিকের অত্যধিক ব্যবহার মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। প্লাস্টিকের বর্জ্য নদী, সমুদ্র ও মাটিতে জমা হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়, যা খাদ্য ও পানির মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ...
লিভারে চর্বি জমার ফলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। লিভারে অল্প পরিমাণ চর্বি জমা স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বি জমলে তা...
বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাঁত পড়ার সমস্যা একটি সাধারণ বিষয়, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এই সমস্যা কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। দাঁত মজবুত রাখতে এবং পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত,...
লোডিং...

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.