হাই তোলা খুবই সাধারণ বিষয়। সাধারণত শরীর ক্লান্ত থাকলে, বেশি পরিশ্রম করলে কিংবা একঘেয়েমির কারণে হাই উঠে থাকে। তবে হাইয়ের সঙ্গে অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সম্পর্ক থাকে। সাধারণত ঘুম পাওয়া অথবা একঘেয়ে লাগলে মস্তিষ্ক মানুষের শরীরকে সজাগ রাখার কাজ করে। হাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অনেকখানি বাতাস প্রবেশ করে। এভাবে অক্সিজেন মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
হাইয়ের সঙ্গে শারীরিক সমস্যার সম্পর্ক
হাই তোলার সঙ্গে অনেক সময় শারীরিক সমস্যার সম্পর্ক থাকে। কোনো শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে এটি। ঘন ঘন হাই তোলার পাশাপাশি অন্য কিছু জটিলতা থাকালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মুম্বইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালের ইন্টার্নাল মেডিসিনের উপদেষ্টা দিব্যা গোপাল বলেন, ‘ঘন ঘন হাই তোলার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। ক্লান্তি বা ঘুমের অভাব থেকে শুরু করে স্নায়ুর রোগের ইঙ্গিত হতে পারে বেশি হাই তোলা। তবে ব্যক্তিবিশেষে হাইয়ের সংখ্যা একেক রকম। অন্যান্য উপসর্গ যেমন অবসাদ, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরার পাশাপাশি যদি ঘন ঘন হাই ওঠে, তবে তা জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’
ঘন ঘন হাই তোলার কারণ
ঘুমের অভাব, ক্লান্তি, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, আয়রনের ঘাটতি ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়া কিংবা ফুসফুসের সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে।
আয়রনের ঘাটতির সঙ্গে হাই তোলার সম্পর্ক
রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রনের উপস্থিতি প্রয়োজন। শরীরে আয়রনের অভাব ঘটলে অক্সিজেন ঠিকমতো সরবরাহ করতে পারে না শরীর। আর এই বার্তা পৌঁছোয় মস্তিষ্কে। সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক হাই তুলে তুলে শরীরকে সঙ্কেত পাঠায়। এরপর হাই তোলার মাধ্যমে বেশ কিছুটা অক্সিজেন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে।
ঘন ঘন হাই তোলা রোধে করণীয়
গন ঘন হাই তোলা রোধ করতে নিয়মিত ঘুমের রুটিন মেনে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে নিয়মিত। পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে। এ ছাড়া শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধিতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন, পালং শাক, আপেল ও বেরি উপকারী। সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে শরীরচর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, হিন্দুস্তান টাইমস