চিড়িয়াখানা ঘুরতে কার না ভালো লাগে! বিশেষ করে শিশুদের খুবই পছন্দের একটি জায়গা চিড়িয়াখানা। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানাপ্রীতি অবশ্য অনেকটাই কমে যায়। তবে অনেকের মনে সেই শিশুসত্তাটি বড় হওয়ার পরেও রয়ে যায়। তারা বড় হলেও চিড়িয়াখানায় ঘুরতে পছন্দ করেন।
চিড়িয়াখানা সত্যিই খুব মজার একটি জায়গা। গভীর জঙ্গলে যেসব প্রাণি ঘুরে বেড়ায়, যাদের সহজে দেখা পাওয়া যায় না, সেসব প্রাণিদের আপনি এক জায়গায় দেখতে পাচ্ছেন। এটি সত্যিই মানুষের জন্য এক দারুণ সুযোগ।
এসব কারণেই ছুটির দিনগুলোতে চিড়িয়াখানায় উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বাঘ, সিংহ, হাতি, ঘোড়া, বানর ইত্যাদি দেখে আনন্দ লাভ করে মানুষ। অনেকেই দলবল নিয়ে পিকনিক করার জন্য চলে যান চিড়িয়াখানায়। সেখানে লম্বা গলা উচিয়ে স্বাগত জানায় জিরাফ। খাঁচার ভেতর থেকে মুখ ভেংচি কাটে হনুমান। মজার সব কাণ্ড, তাই না?
তবে এভাবে বন্য প্রাণিদের একটি বিশেষ জায়গায় বন্দী করে রাখার পক্ষে নন পৃথিবীর অনেক পশুপ্রেমী। তাঁরা বলেন, প্রতিটি প্রাণীর স্বাধীন জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। কোনোভাবেই কোনো প্রাণিকে চিড়িয়াখানায় বেঁধে রাখা উচিত নয়।
এসব বিরোধীতার কারণেই পৃথিবীর অনেক দেশে তৈরি হয়েছে পশুদের অভয়ারণ্য তথা সাফারি পার্ক। তারপরও পৃথিবীতে চিড়িয়াখানা রয়েছে। সেসব চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন বহু মানুষ ঘুরতে যান।
তবে চিড়িয়াখার কিছু উপকারিতাও রয়েছে। যেমন কিছু কিছু চিড়িয়াখানায় পৃথিবীর এমন কিছু বিরল প্রাণি রয়েছে, যার অস্তিত্ব আর কোথাও নেই। শুধু চিড়িয়াখানাতেই বিশেষ যত্নের সঙ্গে তাদের বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
যাঁরা চিড়িয়াখানায় ঘুরতে পছন্দ করেন, আজ তাদের দিন। আজ ৮ এপ্রিল, ‘চিড়িয়াখানাপ্রেমী দিবস’। তবে কখন, কীভাবে এই দিবসের প্রচলন হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।
চিড়িয়াখানা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও, চিড়িয়াখানা সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানা যায়। যেমন, পৃথিবীর প্রাচীনতম চিড়িয়াখানাটির অস্বিত্ব পাওয়া যায় অস্ট্রিয়ায়। ১৭৫২ সালে সম্রাট প্রথম ফ্রান্সিস ভিয়েনায় একটি চিড়িয়াখানা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথম দিকে চিড়িয়াখাটিতে শুধু রাজ পরিবারের লোকজনদেরই প্রবেশাধিকার ছিল। পরে ১৭৭৫ সালের দিকে চিড়িয়াখানাটি সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার