ভাত রান্নার আগে সবার বাসায়ই চাল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখা হয়। সেই পানি ফেলে চাল কয়েকবার ধুয়ে নিয়ে তারপরই সাধারণত হাঁড়িতে চড়ানো হয়। চাল ধোয়া এ পানির সঙ্গে কিন্তু অনেক প্রয়োজনীয় এবং পুষ্টিকর উপাদানও বেরিয়ে যায়।
জাপান, কোরিয়াকে অনুসরণ করে আমাদের দেশে এই চাল ধোয়া পানি আজকাল ত্বকচর্চায় কাজে লাগানো হচ্ছে।তবে জানেন কি ঘর কিংবা বাগানের গাছের জন্যও এই রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া পানি অত্যন্ত উপকারি!
বাড়িতে যারা শখের বশে বাগান করে থাকেন, তাঁদের অনেকেরই দামি দামি সার কেনার ক্ষমতা থাকে না। কেউ কেউ সারের সঠিক ব্যবহার এবং প্রয়োগের পরিমাণ সম্পর্কেও থাকেন অজ্ঞাত।
অথচ রাসায়নিক সার পরিমাণে একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। এসব ঝক্কি ঝেড়ে তাই রোজকার চাল ধোয়া পানিটিই রেখে দিন গাছের খাবার হিসেবে।
চাল ধোয়া পানিতে থাকে গাছের উপকারি বিভিন্ন উপাদান। যেমন ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি প্রভৃতি। এ ছাড়া এই পানিতে রয়েছে স্টার্চ, যা গাছে ফুল-ফলের উৎপাদনে সাহায্য করে।
স্টার্চ গাছের মাটিতে থাকা উপকারি ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাককে পরিমাণে বাড়িয়ে তোলে; গাছের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গ্রহণ সহজ করে তোলে।
ব্যবহারের উপায়
সাধারণত দুই-তিনবার চাল ধোয়া হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে শুধু প্রথমবারের চাল ধোয়া পানিই গাছে প্রয়োগ করতে হবে। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চির টবে প্রায় ২০০ গ্রাম চাল ধোয়া পানি প্রয়োগ করতে যাবে। একটু বড় টবে আরেকটু বেশি পানি দেয়া যেতে পারে।
টানা এক থেকে দুইমাস গাছের গোড়ায় এই চাল ধোয়া পানি প্রয়োগ করুন। দেখবেন এতে গাছ অনেক বেশি সতেজ থাকবে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
তবে কখনো এক-দুইদিনের জমানো চাল ধোয়া পানি গাছের গোড়ায় দেবেন না। এতে গাছের উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি।