এই গরমে ফ্যাশনের দুনিয়ায় আবার দেখা যাচ্ছে পুরোনো এক চেনা নাম, ব্র্যাট সামার। আর তার সঙ্গেই ফিরে এসেছে এক ধরনের উজ্জ্বল রঙ নিয়ন গ্রিন। এই রঙের অন্যতম দিক হলো চোখে লাগে এবং মনে থাকে। এবারের গরমে তাই ফ্যাশনের ভাষায় একটাই কথা ‘শুধু আরামদায়ক নয়, হতে হবে নজরকাড়া।’
কোথা থেকে এল এই ট্রেন্ড?
ব্র্যাট সামার শব্দটা প্রথম আলোচনায় আসে গত বছর। তখন পপ তারকা চার্লি এক্সসিএক্স তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ব্র্যাট’ বের করেন। অ্যালবামের গান, কভার, সাজ-পোশাক, সবকিছুর মধ্যে ছিল একরকম উগ্রতা, সাহস আর নিজেকে প্রকাশ করার শক্তি।
চার্লি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমার অ্যালবামের রঙ হবে নিয়ন গ্রিন! ৬৫ রকম সবুজ রঙের মধ্যে থেকে বেছে নিয়েছি সবচেয়ে সাহসীটা।’ তাঁর চোখে সেটাই সবচেয়ে ‘ব্র্যাট’।
‘ব্র্যাট’ মানে কী?
ব্র্যাট মানে দুষ্টু, জেদি কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। নিজের মতো থাকা, নিজের পছন্দের মতো চলা। এটাই এই স্টাইলের আসল কথা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন অনেকেই বলছেন, ‘আমার সাজ আমি ঠিক করব, কে কী ভাবল, তাতে কিছু যায় আসে না!’ এই মনোভাবই আজকের তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে ব্র্যাট সামার ট্রেন্ড।
নিয়ন গ্রিন কি সহজে পরা যায়?
অনেকেই ভাবেন, এত উজ্জ্বল রঙ বুঝি শুধু সেলিব্রিটিরাই পরতে পারেন। আসলে তা নয়। নিয়ন গ্রিন পরা খুব একটা ঝামেলার নয়। বরং, নিজের স্টাইলের প্রতি আত্নবিশ্বাস থাকলে খুব সহজেই এই রঙের পোশাক পরতে পারেন।
যেমন, একটি সাদা টি-শার্টের সঙ্গে নিয়ন গ্রিন গ্রাফিক ডিজাইন থাকতে পারে। একজোড়া নিয়ন রঙের দুল বা ছোট ব্যাগ রাখতে পারেন সাথে। নখেও পরতে পারেন একটু সবুজ রঙের নেইলপলিশ। কালো পোশাকের সঙ্গে থাকতে পারে নিয়ন অ্যাকসেসরিজ। এইভাবে আপনি সহজেই ট্রেন্ডে থাকতে পারেন। আবার বেশি চটকদারও লাগবে না।
কেন আবার ফিরে এল এই রঙ?
সারা বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন ট্রেন্ডি হয়েছে হালকা রঙ আর মিনিমাল সাজ। তবে এখন অনেকে বলছেন, সেই যুগ শেষ! এবার চাই ফিরে আসুক ঝলক, সাহস আর উচ্ছ্বাস। জেনারেশন জেড বলছে, ‘আমরা চুপ করে থাকার জন্য জন্মাইনি!’
তাই তাদের ফ্যাশনেও ফুটে উঠছে সাহস আর আলাদা কিছু হয়ে ওঠার বার্তা।
ব্র্যাট সামার সিজন ২ আসলে একটা রঙের চেয়েও বেশি কিছু। এটা এক ধরনের ভাবনা, নিজেকে প্রকাশ করার সাহস। নিয়ন গ্রিন শুধু চোখ ধাঁধানো নয়। এটা বলার ভাষাও, ‘আমি যেমন, তেমনই দারুণ।’
তাই যদি আপনার মনে হয় এই গরমে নিজেকে একটু নতুনভাবে তুলে ধরা দরকার। তাহলে পোশাকে নিয়ে আসুন নিয়ন গ্রিন। কারণ কখনো কখনো একটু ভিন্নতাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় স্টাইল।