শীতে অনেকেই বেড়াতে যাবেন। কিন্তু ঘরে থাকা গাছ নিয়ে পড়বেন দুশ্চিন্তায়! গাছে পানি দেবে কে, এই চিন্তায় দূরে কোথাও বেড়াতে বা ভ্রমণে যাওয়ার আনন্দটাই যেন ফিকে হয়ে আসে।
আসলে কিছু উপায় প্রয়োগ করতে পারলে বাড়িতে কেউ না থাকলেও গাছ ঠিকই পানি পেয়ে তরতাজা থাকবে। তবে এজন্য বাড়িতে থাকাকালীন সময়ই পরখ করে দেখে নিতে হবে, আপনার প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে গাছের পানির চাহিদা মিটছে কি না।
- একটা বড় গামলা বা পাত্রে পানি ভরে নিন। এবার যে গাছগুলোতে পানি দিতে চান সেই গাছের টব এনে গামলার পাশে রাখুন। কয়েকটা দড়ি নিয়ে তার এক প্রান্ত গামলার পানিতে ডুবিয়ে দিন। দড়ির অন্য প্রান্ত টবের মাটির মধ্যে গুঁজে দিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে দড়িটি টবের নীচ পর্যন্ত চলে যায়। অবশ্যই সবার আগে টবের মাটি পানি দিয়ে ভাল করে ভিজিয়ে নিতে হবে। না হলে টবের মাটি প্রথমেই অনেকটা পানি শুষে নেবে।
- কয়েকদিনের জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে গাছকে প্রত্যক্ষ সূর্যালোক থেকে দূরে রেখে যাবেন। তা হলে গাছের গোড়ার পানি গাছের কাজে লাগার আগেই বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। তাই এমন কোনও জানালার পাশে গাছের টবগুলো রাখতে হবে যাতে গাছ আলো পায়, কিন্তু রোদ না লাগে।
- যেদিন বেড়ানোর উদ্দেশে রওনা দেবেন, সেদিন খুব ভালো করে গাছগুলোতে পানি দিন। গাছগুলোকে একটা বড় প্লাস্টিক গামলায় সাজিয়ে রাখুন। এরপর পুরোনো খবরের কাগজ মুঠো করে নিয়ে পানিতে ভেজান। এই ভেজা কাগজের দলা টবগুলোর আশপাশে সাজিয়ে রাখুন। এতে টব থেকে পানি হারাবে না।
- বাড়িতে বাথটাব বা বড় বেসিন থাকলে, বেড়াতে যাওয়ার আগে তার পানি বেরোনোর পথটা বন্ধ করে দিন। তারপরে তাতে পানি ভরে তার মধ্যে টবগুলো নামিয়ে দিলেই টবের তলার ছিদ্র পথে গাছের মাটি পানি শুষে নেবে।
- বাইরে যাওয়ার আগে গাছে কোনোভাবেই সার বা ওষুধ দেওয়া যাবে না। এতে গাছের জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হবে। যা না পেলে উল্টো গাছের ক্ষতি হতে পারে।
- লম্বা সময়ের জন্য বাড়ির বাইরে গেলে সহজ এবং নির্ভরযোগ্য উপায় হলো প্রতিবেশী বা কেয়ারটেকারকে গাছের দায়িত্ব দিয়ে যাওয়া। অল্প ও ছোট টবের গাছ হলে সেগুলো প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।