বেশিভাগ কুকুরই তার মালিকের ভক্ত হয়। কিন্তু কিছু জাত আছে, যারা একটু বেশি। মানে একটু বেশি অনুভব করতে পারে। একটু বেশি আঁকড়ে ধরে। তারা শব্দ, আচরণ, মনোভাব—সবকিছুতে সাড়া দেয়। এমন ১০টি সংবেদনশীল কুকুরের কথা জেনে নিন। তাদের আপনি নিশ্চিন্তে পরিবারের একজন ভাবতে পারেন।
ল্যাবরাডর রিট্রিভার
প্রাণখোলা হাসির মতো স্বভাব। সবাইকে ভালোবাসে। কিন্তু একা থাকতে পারেই না। আপনার মন খারাপ? ও ঠিক বুঝে যাবে। ছুটে এসে গা ঘেঁষে বসে থাকবে।
বর্ডার কোলি
বুদ্ধিমান, কিন্তু খুব আবেগপ্রবণ। আপনার চোখের ভাষা পড়তে পারে। গলার স্বরে রাগ টের পায়। একটু কড়া কথা বললে মন খারাপ করে বসে থাকে। তবে আপনাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কিন্তু কাজগুলো করবেন ধৈর্য ও মমতা দিয়ে।
ক্যাভালিয়ার কিং চার্লস স্প্যানিয়েল
এই কুকুরটি কোলে বসতে খুব ভালোবাসে। একটু দূরে রাখলেই মন ভার করে ফেলে। মিষ্টি ব্যবহার আর আলতো আদরে প্রাণ খুলে যায়।
জার্মান শেফার্ড
শক্তপোক্ত, আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু হৃদয়ের দিক দিয়ে একদম নরম। মালিকের অনুভূতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। রাগান্বিত মুখেও চিন্তা করে, ‘কি হলো তোমার?’
শেলটি (শেটল্যান্ড শিপডগ)
নামেই আছে কোমলতা। জোরে আওয়াজ বা বিশৃঙ্খলা একদম সহ্য করতে পারে না। শান্ত বাড়ি, নরম মন—এই হলো ওর সুখ।
ইতালিয়ান গ্রেহাউন্ড
শরীরে পাতলা, আচরণে লাজুক। দ্রুত শব্দ, হঠাৎ ছুটে যাওয়া—সবকিছুতে ভয় পায়। তাই চাই হালকা আলো, শান্ত ঘর।
গোল্ডেন রিট্রিভার
সবচেয়ে জনপ্রিয় এক জাত। কারণ? বিশ্বস্ততা, স্নেহ আর ভালোবাসায় আপস নেই। আপনি মন খারাপ করলে সে তার পাঞ্জা দিয়ে আপনার হাত ছুঁয়ে দেবে। এমন ভাব নেবে যেন বলছে ‘আমি আছি, চিন্তা করনা’।
পুডল
চালাকিতে কম যায় না, কিন্তু তার চেয়েও বেশি সংবেদনশীল। সব ধরনের পুডলই মানুষের আবেগে সাড়া দেয়। গলার নরম স্বর আর আদরের ছোঁয়া—এই ওর প্রিয়।
হুইপেট
শান্ত, ধীর, মিষ্টি। শব্দ ও ঝগড়াবিবাদ একদম সহ্য করতে পারে না। ভয় পেলে কোণে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। একটু আদর করলেই আবার ফিরে আসে।
ভিজসলা
এই জাতকে ‘ভেলক্রো ডগ’ বলে ডাকা হয়। কারণ ওরা একদম গা লাগিয়ে থাকে। একা থাকলে মন খারাপ করে। মালিকের ভালোবাসা চাই, কথা চাই, ছোঁয়া চাই।
সংবেদনশীল এসব কুকুররা শুধু পোষ্য নয়, পরিবারের একজন হয়ে ওঠে। তারা অনুভব করে, প্রতিক্রিয়া জানায়, ভালোবাসে নিঃশর্তভাবে।