রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পল্টন থানার আরেকটি মামলায়ও জামিন পেয়েছেন আমির খসরু।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাঁদের জামিনের আদেশ দেন।
আসামীদের পক্ষে আদালতে শুনানী করেন আইনজীবী মহসিন মিয়া ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। জামিন চেয়ে শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। বয়স্ক ও অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করে। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানার ৯টি মামলায় জামিন পান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। তাঁদের এ কর্মসূচি শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতা–কর্মীরা। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা–কর্মীরা হামলা করে হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। ভাংচুর করে কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্স ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।
মহাসমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হামলায় বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও গুরুতর আহত হন। ভাংচুর করা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়ি।
এ ঘটনার পর নাশকতার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
আর ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক হন আমীর খসরু। পরদিন তাঁর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনিও কারাগারে রয়েছেন।