গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠতা ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলা ৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে নিস্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলী। অন্যদিকে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও সরদার জিন্নাত আলী।
আইনজীবীরা জানান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের কাছে বিগত সাত কর বর্ষের আয়করের দ্বিতীয় মূল্যায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি করা ৬০০ কোটির বেশি টাকার বিষয়ে করা দুটি রিট নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গ্রামীণ কল্যাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ ফোনের শেয়ার কিনতে গ্রামীণ টেলিকমকে অর্থ প্রদান করে। চুক্তি অনুযায়ী শেয়ার থেকে গ্রামীণ টেলিকমের প্রাপ্ত লভ্যাংশের অংশ পায় গ্রামীণ কল্যাণ।
কিন্তু এই লভ্যাংশের উপর কর প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে সংস্থাটি। এদিকে, দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলী জানান, সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়ালের আদালতে এ আদেশ দেন। এসময় আপিল বিভাগ রিটের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি করতে বলেছেন।