দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক এলাকা ও দূতাবাসের নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি দেশের কর্মকার্তাদের নিরাপত্তা দেওয়া সহ তাদের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
শনিবার আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনসমূহ নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বারবার অনুরোধ করে। সে সময় পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে একমাত্র সক্রিয় সেনাবাহিনীর নিকট তারা উক্ত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সহায়তা চায়।
এপ্রেক্ষিতে, ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক এলাকা ও দূতাবাসের নিরাপত্তা বিধানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধে শুধুমাত্র অসামরিক সদস্যগণকে ঢাকা সেনানিবাসসহ অন্যান্য সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কিছু সংখ্যক সদস্য নিজ নিজ কনস্যুলেট ভবনে এবং বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করায় উক্ত স্থানসমূহের নিরাপত্তা প্রদান করা হয়।
এছাড়া, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত কিছু সংখ্যক রাশিয়ান বিশেষজ্ঞকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এবিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মিশনসমূহের কোন ব্যক্তিবর্গ অবস্থান করছে না।
এক্ষেত্রে, গুজবে কান না দিয়ে সকলকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।