‘আয়নাঘর’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এমন তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার দুপুরে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে বিগত সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যা দেখলাম তা অবিশ্বাস্য ও বিভৎস। যারা নিগৃহীত হয়েছে তারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বিনা দোষে তুলে এনে টর্চার করেছে। এমন টর্চার সেল সারা দেশে আছে বলে শুনলাম। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে।’
গুম কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি জাতির জন্য চূড়ান্ত ডকুমেন্ট হবে। মানুষের সামান্যতম অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই তথ্য আমাদের সবার সামনে আনার জন্য গুম কমিশনকে ধন্যবাদ।’
প্রধান উপদেষ্টা আজ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল, র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেল ও র্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টার পরিদর্শন করেন, যেগুলো বন্দীশালা হিসেবে পরিচিত।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের বহু মানুষকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে। অজ্ঞাত সেসব বন্দীশালার প্রতীকী নাম রাখা হয়েছে ‘আয়নাঘর’।
আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টাগণ, দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ভুক্তভোগীদের কয়েকজন ও ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা।