বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, এখন উত্তরের অপেক্ষায় সরকার। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের পর এ সংক্রান্ত ফিরতি তাগিদপত্র পাঠাবে ঢাকা।
গত ডিসেম্বরেই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে কূটনৈতিক চিঠি দেয় বাংলাদেশ। দুই দেশের বন্দি-বিনিময় চুক্তির আওতায় কাউকে ফেরত চাওয়ার ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ বিচারিক কার্যক্রমের নথি পাঠাতে হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব কাগজপত্র ভারতে পাঠিয়েছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান, কূটনৈতিকপত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় সব নথি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘এটা এনক্লোজার হিসেবে গেছে। ওইটার মধ্যে কী কী জিনিস আছে যারা পাঠিয়েছে তারা ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি অনেকগুলো কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আমরা ধারণা করি যা যা কাগজপত্র পাঠানো দরকার সবগুলো ঐখানে আছে।’
এখন দিল্লির ফিরতি বার্তার অপেক্ষায় ঢাকা। সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আবারও তাগিদপত্র পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রফিকুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাইনি। কিন্তু আমরা উত্তর প্রত্যাশা করেই যাব। রিমান্ডার একটা পাঠানো হবে। যখন রাজনৈতিক নেতারা মনে করবে যে এটা পাঠানোর সঠিক সময় তখনই এটা পাঠানো হবে।’
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদন ঢাকা পাঠাবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ যা তা সবারই এখন জানা। সেটা আলাদা করে ভারতের সাথে শেয়ার করার প্রাসঙ্গিকতা এখানে নেই। প্রতিবেদনের যে অংশটুকু জনসম্মুখে এসেছে, সেটা যেকোনো মানুষের মনে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’
বিদেশে পালিয়ে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক আইনের আশ্রয় নেয়ার যে পরামর্শ জাতিসংঘ দিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।