পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বছর ঘুরে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আবার ফিরে এলো পবিত্র মাহে রমজান। শুরু হলো সংযম-সাধনা, আত্মশুদ্ধি আর ত্যাগের মাস। বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজে সামিল হবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভোর রাতে সাহরি খেয়ে রোজা রাখবেন তারা। আগামীকাল রোববার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে। এই হিসেবে ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে কদর।
শনিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের আকাশে পরিষ্কারভাবে দেখা মিলেছে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদের। আর এর সাথে সাথেই শুরু হলো মাহে রমজান। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হলো রোজা বা সিয়াম সাধনা। ক্ষমা করা ও পাপ থেকে মুক্ত হতে এই পবিত্র মাস ইবাদতের জন্য সর্বোত্তম।
মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে এই একটি মাস আত্মশুদ্ধির সাধনায় নিবেদিত থাকবেন। বহু ফজিলত ও পুণ্যময় বৈশিষ্ট্যে ভরা এ মাসটিতেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়।
রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত এবং শেষ ১০ দিন নাজাতের। এ মাসেই রয়েছে সহস্র মাসের চেয়ে সেরা একটি রাত লাইলাতুল কদর।
ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, রমজান মাসে একটি ফরজ আমল অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আমলের সমান।