জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ ধরে রাখতে ও তহবিল আদায়ে কার্যকরী হবে। বিশ্লেষকদের আশা, মিয়ানমারের শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দিতে পারেন আন্তোনিও গুতেরেস।
যুদ্ধে জড়িয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন, রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর রেশ ছড়িয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাতেও।
আর বাংলাদেশের জন্য বড় সংকট মিয়ানমারে জাতিগত সংঘাত। আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে। কারণ দিন দিন কমছে আন্তর্জাতিক সহায়তা তহবিল। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের প্রক্রিয়াও আগায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ৪ দিনের সফরে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। কক্সবাজার আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করবেন তিনি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মিয়ানমারে স্থিতিশীলতার জন্য দিক নির্দেশনা দিতে পারেন গুতেরেস।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আমেনা মহসিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমরা বলে থাকি, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী। তবে এর মধ্য দিয়ে যে কোনো সমাধান আসবে, এটা আমি আশা করছি না। একটা বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপ না আসলে মিয়ানমার থেকে এর কোনো সমাধান চট করে আমরা আশা করছি না। চাপটা তো আমাদেরকে রাখতে হবে।’
জাতিসংঘকে রোহিঙ্গা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর কাতারের দোহায় হতে পারে আয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর, সম্মেলন আয়োজন ও তহবিল গঠনে ভূমিকা রাখবে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির বলেন, ‘একেবারে যেহেতু সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ভিজিটটি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে অন্যান্য যারা আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র, অন্যান্য যে দেশগুলো রয়েছে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র, শরণার্থীদের বিষয়ে যাদের একটি সহানুভূতি থাকে বা সাপোর্ট থাকে সেখানে হয়ত কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে।’
এর আগে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে আসেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস।