সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তার নির্বাচন বাতিলের বিধান আরপিওতে যুক্ত করার প্রস্তাব দেবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, কোনো দল ও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় এ বিধান যুক্ত করবে ইসি।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ভোটের প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। সংসদ না থাকায় জাতীয় নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচার কার্যক্রমে উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপের চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা ২২ জন। এর মধ্যে ছাত্র প্রতিনিধি থেকেও রয়েছেন উপদেষ্টা। আচরণ বিধিমালায় নতুন বিধান যুক্ত হলে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না তারা। সেক্ষেত্রে আচরণ বিধামালা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন উপদেষ্টারা।
উপদেষ্টাদের প্রচারণার বাইরে রাখতে কী ধরনের বিধি যুক্ত করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের বাহিরেও যেমন বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার আছে বা ভবিষ্যতে কেয়ারটেকার সরকার থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রী বা অন্যান্য ভিআইপির সাথে আমরা উপদেষ্টা শব্দটাও যুক্ত করার প্রস্তাব করব।’
এদিকে, হলফনামায় প্রার্থী মিথ্যা বা তথ্য গোপন করলে, তার নির্বাচন বাতিলের সুপারিশ করেছে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ সংক্রান্ত বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব দেবে ইসি।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আচরণবিধি পরিপন্থি কাজ করলে তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এগুলো সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে সেগুলো আমরা ইনকরপোরেট করেছি। আমরা এটাকেও রাখার প্রস্তাব করব।’
প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ ও ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন প্রার্থীরা, এমন বিধানও যুক্ত হতে পারে।।