গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামীকাল ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামীকাল সকাল ৯ টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস বন্ধ থাকবে। স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।
গাজায় ফিলিস্তিনি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বজুড়ে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিন ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস নামের একটি গোষ্ঠী। এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অনেক বাংলাদেশিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গত দেড় বছরে উপত্যকায় নিহত হয়েছে ৫০ হাজার ৬০০ জনের বেশি। আহত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। নিহত এবং আহতদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।
গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। এরপর প্রায় দুই মাস ভূখণ্ডটিতে খুব একটা হামলা হয়নি। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাড়ানোর বিষয়ে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় নতুন করে হামলা জোরদারের পর প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। সেই সঙ্গে রয়েছে কঠোর অবরোধ। খাদ্য, পানি, ওষুধসহ সব ধরনের জরুরি পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় গাজার বাসিন্দারা ভয়াবহ মানবিক সংকটের সম্মুখীন।
মানবিক সংকটের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে আহতদের ভিড়ে। চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই বলে অনেক রোগীকেই সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে খান ইউনিসে আজ সকালে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্য ফিলিস্তিনি এক সাংবাদিকও রয়েছেন।