মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যে দ্বিমত জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী। তার দাবি মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ডিবি প্রধানের বদলি রুটিন কাজের অংশ বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় তারা এ কথা বলেন।
মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে গত বুধবার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে এক মাসের আটকাদেশ দেয় আদালত।
এ ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা হয় নানা মহলে। এর পরেই আসে ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর। এছাড়া, মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ নয় জানতে গত রোববার রুল জারি করে হাইকোর্ট।
এ পরিস্থিতিতে রোববার আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল মন্তব্য করেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তবে তাকে আটকের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি।
সচিবালয়ের সভা শেষে খোদা বখস চৌধুরী জানান, আইন উপদেষ্টা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন, তার জানা নেই। আইন উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্রের কাছে এ বিষয়ে কিছু জানতেও চাননি বলে জানান তিনি।
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা কি প্রেক্ষিতে বলেছেন সেটা তো আমরা জানি না। এটা তো ওনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে বিষয়টা। আর উনি তো আমাদেরকেও এ বিষয়ে বলেন নি যে আমি এ কারণে বলেছি, এটা জানান।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘এটা তো পুলিশের ক্ষেত্রে অনেকে যাবে আসবে, এটা তো নিয়ম। এসব কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে না। এটা একটা নরমাল প্রসেস। তিনি হয়ত অসুস্থ আছেন বা অন্য কিছু আছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, জুলাই আন্দোলনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে রাঘববোয়ালদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কিন্তু রাঘববোয়াল কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। এখন রাঘববোয়ালটা তো আমার জালে আসতে হবে। আমার জালে আসার আগে তো আমি তাকে ধরতে পারছি না। জালে যেটাই আসতেসে, আমরা কিন্তু সেটাকেই ধরছি। আপনি একটাকেও যদি বলেন যে জালে আসার পরে আমরা ছেড়ে দিয়েছি, তাহলে বলতে পারেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আগের চেয়ে অনেক ভালো কাজ করছে। পর্যায়ক্রমে পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তন কার্যকর হবে।