অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারী ও আরেক উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ দিচ্ছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
অন্যদিকে, ২৭ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান মোয়াজ্জেম হোসেন। আর ২ অক্টোবর নিয়োগ হয়েছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবীর।
মোয়াজ্জেম ও তুহিনের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তা অনুসন্ধানের উদ্যোগী হয় দুদক। টাকার বিনিময়ে চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতির অভিযোগ ওঠলে এই ২ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয় উভয় মন্ত্রণালয়।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ২৭ কোটি এবং পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লা আল জ্যাকবের ১৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া কথা জানান দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।